ফাইল চিত্র।
কোন-কোন রুটে কতগুলি মিনিবাস কেন চলছে না, সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরুর কথা জানাল জেলা পরিবহণ দফতর। পাশাপাশি, জেলার পরিবহণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা পরিবহণ আধিকারিক পুলকরঞ্জন মুন্সী। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থার কথা জানালেও দুর্গাপুর মহকুমার নানা প্রান্তের যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, রাতে নানা রুট থেকে উধাও হয় মিনিবাস।
আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি জানায়, এই মহকুমার প্রায় ৩২টি রুটে কমপক্ষে ১১৩টি মিনিবাস চলছে না। এর পরেই পরিবহণ দফতর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। যদিও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায়ের দাবি, ‘‘পরিবহণ দফতরকে অনেক আগেই তালিকা দিয়ে পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।’’
পরিবহণ দফতরের দাবি, জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) শশাঙ্ক শেঠির উপস্থিতিতে সম্প্রতি এক বৈঠকে ঠিক হয়, আসানসোল, দুর্গাপুর স্টেশন থেকে রাতে বাস পরিষেবা চালু করা হবে। এ ছাড়া, প্রতিটি রুটে মিনিবাসকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ‘ট্রিপ’ চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, বিকেলের পরে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় প্রায়ই মালিকেরা চালকদের ‘ট্রিপ’ কমানোর নির্দেশ দেন। দুর্গাপুর মহকুমায় ১৯টি রুটে প্রায় ২৭০টি মিনিবাস চলাচল করে। বেনাচিতির প্রান্তিকা থেকে সিটি সেন্টার হয়ে দুর্গাপুর স্টেশনে দিনে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মিনিবাস চলে। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে ওই রুটের শেষ বাসটি ইলাহাবাদগামী বিভূতি এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়ে। বেনাচিতির যাত্রীরা সেই বাস ধরে গন্তব্যে পৌঁছলেও ডিএসপি টাউনশিপের যাত্রীরা যেতে পারেন না। স্টেশন থেকে ৮-বি রুটের শেষ মিনিবাসটি ছাড়ে রাত ৯টায়। ফলে, রাতে ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি পৌঁছতে অটো বা ট্যাক্সি রিজ়ার্ভ করা ছাড়া উপায় থাকে না যাত্রীদের।
কিন্তু কেন এই হাল? দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিকদের অন্যতম সংগঠনের তরফে কাজল দে বলেন, ‘‘দু’হাজারের বেশি অটো, দেড় হাজারের বেশি টোটো চলে। বেআইনি অটো-টোটোর দাপটও রয়েছে। নাজেহাল দশা মিনিবাসের। সন্ধ্যার পরে যাত্রী-সংখ্যা তলানিতে ঠেকে।’’ একই দাবি আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনেরও।
যদিও পুলকরঞ্জনবাবুর দাবি, রেজিস্ট্রেশন নতুন করে শুরু হওয়ায় অবৈধ অটো চলাচল কমেছে। মঙ্গলবারই শতাধিক টোটো ধরা হয় আসানসোলে। দশ হাজার টাকা জরিমানা ও টোটো ছেড়ে অনুমতিপ্রাপ্ত ই-রিকশা চালাবেন, এই মর্মে স্ট্যাম্প পেপারে মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে চালকদের থেকে। তার পরে তাঁদের টোটোগুলি ছাড়া হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (পরিবহণ) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘বাস রুটে অটো ও টোটো চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ করছে।’’ কল্যাণপুর আবাসন লাগোয়া অঞ্চলে জেলা পরিবহণ দফতর তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy