এখানেই হবে প্লান্ট। নিজস্ব চিত্র
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এ বার আসানসোলে একটি ‘বটলিং প্লান্ট’ (পরিশুদ্ধ বোতলবন্দি পানীয় জলের প্লান্ট) তৈরি করছে। সে জন্য জমি চিহ্নিত করা, কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থাকে প্রকল্প তৈরির বরাত দেওয়ার কাজও হয়ে গিয়েছে। দফতরের আশা, আগামী বছরের গোড়ায় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে। প্রকল্পটি তৈরি হলে এলাকায় কর্মসংস্থানও হবে।
দফতর সূত্রে জানা যায়, এমন প্রকল্পের ভাবনাচিন্তা দীর্ঘদিন থাকলেও পরিকাঠামোর অভাব এবং উৎপাদিত দ্রব্যের চাহিদা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন কর্তারা। তবে গত এক বছর ধরে শিল্পাঞ্চলের বাজার সমীক্ষা করে দফতরের কর্তারা এমন জলের চাহিদা সম্পর্কে নিশ্চিত হন এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা শুরু হয়। দফতরের আসানসোলের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আশিস নস্কর জানান, কল্যাণেশ্বরীতে জল পরিশোধোনাগার কেন্দ্র লাগোয়া ফাঁকা জমিতে এই প্রকল্পটি তৈরি হবে। তিনি জানান, প্রথমে দৈনিক সাড়ে তিন হাজার বোতল বন্দি জল উৎপাদন করা হবে। পরে চাহিদামতো সেই পরিমাণ বাড়ানো হবে। হাফ ও এক লিটার জল বাজারে মিলবে যথাক্রমে আট ও ১৫ টাকায়।
কিন্তু দফতর সূত্রে খবর, সব ঠিক থাকলেও প্রায়ই জল পরিশোধোনাগার কেন্দ্রে স্থানীয়দের নিয়োগের দাবিতে যে ভাবে অশান্তি হচ্ছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখা যাচ্ছে। গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এই কেন্দ্রের ঠিকাকর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রায়ই বচসা, মারামারিতে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে। এমনকি, অশান্তির জেরে শোধনাগারের কর্মী ও আধিকারিকেরা কাজে যোগ দিতে বাধা পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে দফতরের কর্তাদের একাংশের চিন্তা, নতুন প্রকল্পেও এই সমস্যা দেখা দেবে না তো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দফতরের এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যে এলাকার কিছু যুবক তাঁদের কাছ থেকেই ইট, বালি, সিমেন্ট-সহ নানা নির্মাণ সামগ্রী কেনার দাবি জানিয়ে সংস্থাটিকে চাপ দিচ্ছে।
তবে আশিসবাবুর আশ্বাস, ‘‘এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে স্থানীয় বেকার যুবকদেরই কর্মসংস্থান হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy