জখম অপর্ণা ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
এক বৃদ্ধার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক পরিচারিকার বিরুদ্ধে। রবিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের আলাউদ্দিন খাঁ বীথির ঘটনা। যদিও পরিচারিকা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাড়ি থেকে কিছু চুরি গিয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে ষাটোর্ধ্ব অপর্ণা ভট্টাচার্য একাই থাকেন। তাঁর স্বামী অরুণকুমার ভট্টাচার্য কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। একমাত্র মেয়ে থাকেন মুম্বইয়ে। এ দিন সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পান পড়শিরা। তাঁরা ভেবেছিলেন পরিচারিকার সঙ্গে কোনও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। তাই কেউ মাথা ঘামাননি। কিছুক্ষণ পরে সব থেমে যায়। কিছুক্ষণ পরে রাঁধুনি রান্না করতে এসে দেখেন, উপরতলার ঘরের ভিতরে মাথায় চোট নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন অপর্ণা। তাঁর কাছে খবর পেয়ে পড়শিরা আসেন। দেখা যায়, নীচে বাগানে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই পরিচারিকা।
খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর যায় ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর বিষয়ে পদক্ষেপ করেন। এর পরে দু’জনকেই উদ্ধার করে পুলিশ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপর্ণা পুলিশকে জানান, ওই পরিচারিকা তাঁকে ভারী কিছু দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। তিনি পাশের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। এ দিন তিনি কাজ চাইতে এসেছিলেন। তখন কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, সে সময় পরিচারিকা আচমকা বৃদ্ধার উপরে চড়াও হন।
এ দিকে, বাগান থেকে পরিচারিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদি ওই পরিচারিকাই তাঁকে আঘাত করেন, তাহলে বাগানে পরিচারিকা অচৈতন্য অবস্থায় কী ভাবে পড়েছিলেন? তিনি কি দ্রুত পালাতে গিয়ে কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন?— এ সব প্রশ্নগুলি ভাবাচ্ছে পুলিশকে। পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচারিকা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, এক যুবক বাড়িতে এসে ঘটনা ঘটিয়ে পালানোর সময় তাঁকে ঠেলে ফেলে দেয়। তিনি জ্ঞান হারান। প্রতিবেশীদের কারও-কারও দাবি, ওই পরিচারিকা ওই যুবককে বাড়িতে ডেকে এনেছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রকৃত ঘটনা জানতে পরিচারিকাকে ফের জেরা করা হবে। কারণ, তিনি ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এটা এক প্রকার নিশ্চিত। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) তথাগত পাণ্ডে জানান, পরিচারিকাকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খুঁজে বার করা হবে। ‘সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার ফোরাম’-এর সম্পাদক পীযূষ মজুমদার বলেন, “খবর পেয়ে সঙ্গে-সঙ্গে যাই। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সিটি সেন্টারে অধিকাংশ প্রবীণ মানুষের বসবাস। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy