—প্রতীকী চিত্র।
একটি ঘরে ঝুলছে বৃদ্ধের দেহ। অন্য ঘরে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের দেহ। শুক্রবার, ষষ্ঠীর দিন বিষাদের ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের কুলটি থানার বরাকরে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, আত্মহত্যা করেছেন একই পরিবারের তিন সদস্য। যদিও কী কারণে আত্মঘাতী হলেন তাঁরা, তা এখনও অজানা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ। প্রতিবেশীরা তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর দেন থানায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ। দেহগুলো উদ্ধারের পর তিন জনের দেহ পাঠানো হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সেখানে ময়নাতদন্ত হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সুদীপ্ত রায়, অগ্নিশঙ্কর রায় এবং শ্বেতা রায়। সুদীপ্ত এবং সবিতা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অগ্নিশঙ্কর তাঁদের একমাত্র সন্তান। পুলিশ ওই বাড়িতে ঢুকে দেখে একটি ঘরে ৭৪ বছরের সুদীপ্ত গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছেন। তার ঠিক পাশের ঘরে তাঁর ছেলে এবং স্ত্রীকেও ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়দের কয়েক জনের দাবি, বাড়ি থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। যদিও এ নিয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃদ্ধ দম্পতির ছেলে অগ্নিশঙ্কর গৃহশিক্ষকতা করতেন। পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল বা অশান্তির আভাস তাঁরা পাননি। তাই কী কারণে তিন জন এক সঙ্গে আত্মহত্যা করলেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বোধনের দিন চার দিক যখন উৎসবের আনন্দে মেতেছেন, তখন এমন একটি ঘটনায় শোকস্তব্ধ ওই এলাকা।
তিন জনের দেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘দম্পতি এবং এক জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, কী কারণে একই পরিবারের তিন জন আত্মহত্যা করলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy