দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র
দূর-দূরান্তে গাড়ি চালিয়ে ঘোরার নেশাই কাল হল, আক্ষেপ কাটোয়ার গড়াগাছা গ্রামে ডাম্পারের ধাক্কায় আহত শেখ সাজাহানের। মঙ্গলবার নিজের বছর ষোলোর নাতনি ও দুই বন্ধুকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে যাচ্ছিলেন তিনি। রাত পৌনে ১০টা নাগাদ কাটোয়ার গড়াগাছা গ্রামের কাছে এসটিকেকে রোডে একটি ডাম্পারের পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে গাড়িটি। চালক সাজাহান ও তাঁর এক বন্ধু ছাড়া, দু’জন মারা গিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা দেবার্ঘ্য দাসের (৪৫)। স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে বাকি তিন জনকে বার করে নিয়ে যাওয়া হল কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে কিশোরী নাজমিনা খাতুনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার বেগুনবাড়ির বাসিন্দা সে। আহত শচীন চক্রবর্তীকে রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার মৃত দু’জনের ময়না-তদন্ত করা হয় কাটোয়া হাসপাতালে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, চারিদিকে গাড়ির কাচ, ভাঙা নানা জিনিসের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে। অনতি দূরেই ডাম্পার থেকে বালি খালি করে রাস্তার ধারে ডাঁই করে রাখা আছে। স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর শেখের কথায়, ‘‘বেশ কয়েক মাস ধরেই এসটিকেকে রোড চওড়া করার কাজ চলছে। আমাদের এলাকার রাস্তা সংস্কার করার পরে, দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলের মাত্রা বেড়েছে।’’ তিনি জানান, ওই রাতে গড়াগাছা বাসস্টপ থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। একের পরে এক বালিবোঝাই ডাম্পার যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে। তার মধ্যেই দ্রুত গতিতে ওই সাদা রঙের গাড়িটি যায়। কিছুটা দূরে যেতেই বিকট আওয়াজ শুনতে পান তিনি। কাছে গিয়ে দেখেন, দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির ভিতরে চালক-সহ চার জন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ আসে।
কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি শেখ সাজাহান জানান, গাড়ি-সহ অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে তাঁর। বরাবরই দূর-দূরান্তে গাড়ি চালিয়ে ঘোরার নেশা আছে। কৃষ্ণনগরের এক জনের কাছ থেকে ব্যবসার টাকা আনতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সিউড়ির ওই বাসিন্দা বলেন, ‘‘একা যাব দেখে দুই বন্ধু দেবার্ঘ্য ও শচীনকে সঙ্গে নিই। নাতনি নাজমিনাও চিকিৎসার জন্য সিউড়িতে এসেছিল। সে-ও সঙ্গে যাবে বলে বায়না ধরে। সন্ধ্যা নাগাদ বার হই চার জনে। আমি বাঁচলাম, আর ওরা দু’জন চলে গেল, মেনে নিতে পারছি না।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি গাড়িই আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy