নরেন্দ্র মোদীর সভার প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র।
বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি দিন। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তাই ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব পক্ষই। দলের শীর্ষ নেতানেত্রীদের নিয়ে সভা থেকে শুরু করে মিছিল, রোড-শোকোনও কিছুই বাকি রাখছে না রাজনৈতিক দলগুলি।
শুক্রবার সালানপুর ও জামুড়িয়ায় দলীয় প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরীর সমর্থনে সভা করলেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাত। সালানপুরে তিনি নারী নিগ্রহ, সারদা-কাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। তাঁর মন্তব্য, “এ রাজ্যে সরকার কেন সারদা-কাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-এর হস্তক্ষেপে রাজি হচ্ছে না, তা আজ সকলেই বুঝতে পারছেন।” এ রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন তিনি।
এ দিনই জামুড়িয়ায় দলীয় প্রার্থী দোলা সেনের সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, “এই নির্বাচন কমিশনকেই বিরোধী দলগুলো বাবা মনে করছিল। আবার তিন দফা ভোটের পরে নির্বাচন কমিশনারের অপসারণ চাইছে। এরা ভেবেছিল, নির্বাচন কমিশনই এদেরকে জিতিয়ে দিয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার আবার আসানসোলের মিউনিসিপ্যাল পার্কে সভা করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র অভিযোগ করেন, “এ রাজ্যে এতগুলি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু রাজ্য সরকার ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে সেগুলির বিচার প্রক্রিয়া চালাতে পারল না।” রাজ্য সরকার এ ব্যপারে একেবারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। ওই দিনই আসানসোলে এসে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আসানসোল-রানিগঞ্জ খনি এলাকায় মাটির তলায় ধস ও আগুনের সমস্যা অনেক দিনের। অথচ, আগের বাম সরকার বা এখনকার তৃণমূল সরকার, কেউই এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়নি।” তাঁর দাবি, এই কেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থী জয়ী হলে দিল্লিতে দরবার করে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবেন।
কাল, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আসানসোলের পোলো মাঠে দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে সভা করবেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। হেলিকপ্টারে করে আসানসোল স্টেডিয়ামে নামার পরে সেখান থেকে তিনি সভাস্থলে পৌঁছবেন। এই সভার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সভাস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy