প্রথম ভর্তি তালিকায় নাম থাকলেও দ্বিতীয় তালিকায় নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকজন ছাত্র। মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ ট্যুরিজম বিভাগে ভর্তির আবেদনকারী ওই দুই ছাত্র শেখ সুখচাঁদ ও আলমগীর হোসেন মণ্ডলের অভিযোগ, “সমস্ত নিয়ম মেনে আমরা ওই বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করেছি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও দিয়েছি। ভর্তি হওয়া ১৯জনের নামের তালিকায় ১৮ ও ১৪ নম্বরে আমাদের নামও ছিল। কিন্তু ১৯ জানুয়ারি প্রথম তালিকা প্রকাশের পরে ২৮ জানুয়ারি যে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশিত হয় তাতে আমাদের দুজনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।”
তাঁদের আরও দাবি, মঙ্গলবার ভর্তির শেষ দিন ছিল। অথচ নাম না থাকায় ভর্তি হতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় তাঁদের। তাঁরা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ভুল করে দ্বিতীয় তালিকায় আমাদের নাম তোলেনি। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছে, ভর্তি করা হবে না।” কেন নাম বাদ গিয়েছে তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। কিন্তু কেউই সদুত্তর দেননি বলে তাঁদের দাবি। তাঁদের অভিযোগ, প্রায় তিন ঘণ্টা উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকারের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে চল্লিশ মিনিট মতো উপাচার্যকে ঘেরাও করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বলেছেন, আজ, বুধবার তিনি এই বিষয়ে কথা বলবেন। উপাচার্য যদি এই সমস্যার সমাধান না করেন, তাহলে তাঁরা তাঁকে একটানা ঘেরাও করে রাখা হবেও বলেও দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি-র সভাপতি দীপক পাত্র ও ছাত্র সংসদের সহ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সচিব কল্যান মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “দ্বিতীয় তালিকায় কোনও অসঙ্গতি নেই। প্রথম তালিকা প্রকাশের পরে দেখা গিয়েছে, ওই দু’জন ফর্ম পূরণে ভুল করেছেন। তা ছাড়া ফর্ম নির্ধারিত সময়ের পরে জমা দিয়েছিলেন ওই দু’জন।” কিন্তু ফর্ম পূরণে ভুল থাকলে বা নির্ধারিত সময়ের পরে জমা দিলে ওই দু’জনকে লিখিত পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল কী করে? প্রথম তালিকায় নামই বা ছিল কেন? এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কল্যানণবাবু। উপাচার্যও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আমিরুল ইসলাম বলেন, “কল্যাণবাবু ঠিকই বলেছেন। প্রথম তালিকা প্রকাশের পরে কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ওঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy