—ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ১০ দিনের ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তবে মন্ত্রী আদালতেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর ইডি হেফাজত আপাতত শুরু হচ্ছে না। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক জানিয়েছেন, আপাতত মন্ত্রী সুস্থ হোন। তার পর শুরু হবে ১০ দিনের ইডি হেফাজত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় অসুস্থ বালুকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর পছন্দের বেসরকারি হাসপাতালে। তবে ইডি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলে। তারা আদালতে জানায়, এতে তাঁদের হেফাজতের সময়সীমায় টান পড়বে। এর পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার বালুর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ইডিকে।
তিনি সুস্থ হলে তবেই তারা তাঁকে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবেন এবং হেফাজতে নিতে পারবেন। তবে তার আগে নয়।
গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আদালতে নিয়ে এসেছিল ইডি। শুক্রবার দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ ব্যাঙ্কশাল আদালতে আনা হয় মন্ত্রীকে। আদালত চত্বরে পৌঁছে লক আপে ঢোকার মুখে আরও এক বার ষড়যন্ত্রের কথা বলেন জ্যোতিপ্রিয়। কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয় তাঁর মামলার শুনানি। বিচারক তাঁর কাছে জানতে চান। তাঁকে কি কোনও ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে? এর পর শুনানি চলে দীর্ঘ ক্ষণ। সম্পত্তি নিয়ে নানা কথা হচ্ছিল। যুক্তি পাাল্টা যুক্তি দেখাচ্ছিলেন ইডি এবং মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের আইনজীবী। গোটা সময়টাই আদালতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বালু। আচমকাই তিনি অসুস্থ হয়ে বসে পড়েন পাশে রাখা চেয়ারে। কিছু দূরেই দাঁড়িয়েছিল মন্ত্রীর পরিবার। স্ত্রী-কন্যা-দাদা উপস্থিত ছিলেন আদালত চত্বরে। বাবাকে ও ভাবে বসে পড়তে দেখে ছুটে যান কন্যা। অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাম্বুল্যান্স রব ওঠে আদালতে। এর পরে আদালত চত্বরে বমি করেন মন্ত্রী। বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ মন্ত্রীকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। এর পরেই মধুমেহ রোগের রোগী বালুকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
পরে আদালত তার নির্দেশে জানায়, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রীর ১০ দিনের ইডি হেফাজত, তিনি হাসপাতাল থেকে ফেরার পরই শুরু হবে। তবে তাঁর হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে তাঁর পরিবারকেই।
প্রসঙ্গত রেশন বণ্টনে দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার রাত ২টো ৪০ মিনিট নাগাদ গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে সাতটা থেকে তাঁর বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চলে। প্রায় ২০ ঘণ্টা তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। রাতেই তাঁকে তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে ইডি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে ইডির গাড়িতে ওঠার আগে বিধ্বস্ত জ্যোতিপ্রিয় বলে যান ষড়যন্ত্রের কথা। মন্ত্রী জানান, তিনি চক্রান্তের শিকার। যে চক্রান্তের নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বালু বলেন, ‘‘বিজেপি ভাল কাজ করেছে। ওরা আমাকে শিকার করল। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারী সেই চক্রান্তে জড়িত।’’ এর পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। সেখান থেকে সরাসরি দুপুর ১টা ১৫ নাগাদ ডালহৌসি চত্বরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে আসে ইডির গাড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy