ফাইল চিত্র
দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি-র সব মামলা থেকে ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। রাজ্য সরকারের তরফে দায়ের করা বেশির ভাগ মামলাতেও তাঁর জামিন হয়েছে। বাকি ছিল বালুরঘাটের চারটি মামলা। বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার তছরুপ নিয়ে সেই চারটি মামলাতেও মঙ্গলবার জামিন পেলেন ওই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়।
এর পরেও দেবযানীর বন্দিদশা কাটবে না বলে জানান আইনজীবীরা। কারণ, এখনও যে-মামলা ভুবনেশ্বরে দায়ের করা হয়েছিল, তার অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে তিনি বন্দি। সেই মামলা থেকে জামিন না-পেলে তিনি জেলের বাইরে বেরোতে পারবেন না বলে কৌঁসুলি শিবিরের অভিমত।
আইনজীবীদের একাংশ জানান, পশ্চিমবঙ্গে যে-সব মামলায় দেবযানী জামিন পেয়ে গেলেন, তার সব ক’টিতে যদি জামিনের বন্ড পেশ করা হয়, তা হলে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ভুবনেশ্বরে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নতুবা এখন তিনি দমদম জেলে যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন।
সারদার আর্থিক অনিয়ম নিয়ে রাজ্য পুলিশের দায়ের করা ১১৯টি মামলা থেকে ২১টি বেছে নিয়ে চারটি মামলা করেছিল সিবিআই। তা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, অসমের গুয়াহাটি এবং ওড়িশার ভুবনেশ্বরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) দেবযানীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করে। এ রাজ্যে দেবযানীর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চারটি মামলা রয়েছে। সেই চারটি মামলা এবং রাজ্য পুলিশের সব মামলায় দেবযানীর জামিন মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও গুয়াহাটিতে ইডি-র করা মামলাতেও জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। একমাত্র ভুবনেশ্বর আদালতে ইডি-র মামলা বিচারাধীন।
এ দিন বালুরঘাট আদালতে ভার্চুয়াল শুনানির পরে ওই চারটি মামলায় সেখানকার বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানান দেবযানীর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “ভুবনেশ্বর আদালতের ওই মামলায় জামিন পেলে তবেই মুক্তির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে দেবযানীর।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy