শপথ নিয়ে বাবুল সু্প্রিয়র টুইট সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়র প্রকাশ্যে মাননীয় স্পিকারের দ্বারা শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।’ শুক্রবার শপথগ্রহণে বিলম্ব হওয়া নিয়ে টুইট করেন বাবুল। রাজ্যপাল তাঁর শপথের অনুমতি দেন শনিবার। রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাবুল টুইট করেন, ডেপুটি স্পিকারকে সম্মান জানিয়েও স্পিকারের কাছে শপথ না নিতে পারায় দুঃখ হচ্ছে তাঁর। আর রবিবার তাঁর সেই টুইটের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল একে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করলেন। রবিবার পরপর তিনটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল।
দ্বিতীয় টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পাঠ করানো ব্যক্তি হিসাবে ডেপুটি স্পিকার ডঃ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ করা হয়েছে সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ মেনে।’ তৃতীয় টুইটে তিনি লিখেছেন, রাজ্যপাল না চাইলে বিধায়ককে শপথগ্রহণের ক্ষমতা স্পিকারের নেই। কাজেই স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে ২৭ এপ্রিল বাবুল তাঁর শপথ নিয়ে যা লিখেছেন, তা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ত্রুটিপূর্ণ। তিনি বাবুলকে বোঝাতে চেয়েছেন এ বিষয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে রাজ্যপালকে কোনও বার্তা দেওয়া যায় না।
WB Guv:
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 1, 2022
Public domain request of Shri Babul Supriyo, elected to the West Bengal Legislative Assembly from 161-Ballygunge Assembly constituency seeking Governor for administration of oath by Hon’ble Speaker is not acceptable as not being in consonance with the Constitution. pic.twitter.com/nfXnUWYn1H
বাবুলের শপথ ঘিরে বিতর্ক চলছেই। ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় পেলেও, গত প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে শপথ নিতে পারেননি বাবুল। শুক্রবার তাই বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছিলেন এই গায়ক রাজনীতিক। শনিবার সন্ধ্যায় টুইট করে রাজ্যপাল বাবুলের শপথের অনুমতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু স্পিকারের বদলে বাবুলকে শপথগ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার আশিস বলেছেন, ‘‘আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা আমি পালন করতে পারব না। কারণ রাজ্যপাল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তেমনটা কার্যকর হলে, তা বিধানসভার স্পিকারের অবমাননা হবে। তাই আমার কাছে বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ করানোর চিঠি এলেই তা সবিনয়ে তা প্রত্যাখান করব।’’
তাই বাবুলের বিধায়ক পদে শপথ কবে হবে, তা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। সোমবার বিধানসভার সচিবালয় খুললে তার জবাব মিলতে পারে। তবে মঙ্গল ও বুধবার ইদের জন্য ছুটি রয়েছে বিধানসভায়। তাই বৃহস্পতিবারের আগে বাবুলের শপথগ্রহণ সম্ভব ছিল না। কিন্তু নতুন করে জটিলতা দেখা দেওয়ায়, বালিগঞ্জের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ কবে হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বজায় রইল। তার ওপর যুক্ত হল বাবুলের ওপর রাজ্যপালের আনা সংবিধান ভাঙার অভিযোগ।