মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল এক মাস। ৩১ ডিসেম্বর সেই সময়সীমা পেরোলেও, বহু ব্যবসায়ী হিমঘরে মজুত আলু বার করায় উদ্যোগী হননি। তাই হিমঘর মালিকেরা রাজ্য জুড়ে হিমঘরে মজুত প্রায় তিন লক্ষ টন আলু নিলামে বিক্রির দিকে এগোচ্ছেন। কৃষি বিপণন দফতরে নিলাম করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা শুরু হয়েছে। বিক্রির জন্য প্রচারও শুরু হচ্ছে।
‘পশ্চিমবঙ্গ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি পতিতপাবন দে-র দাবি, বারবার নোটিস পাঠানোর পরেও আলু বার করেননি ব্যবসায়ীরা। পক্ষান্তরে, আলু ব্যবসায়ীরা জানান, হিমঘরে মজুত করার সময়ে জ্যোতি আলু কেনা হয়েছিল প্রায় আট টাকা কেজি দরে। কিন্তু এখন সেই আলুর দাম কেজি প্রতি চার টাকার বেশি মিলছে না। খোলাবাজারে পুরনো আলুর দাম বেশ কম। আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য নেতা সুনীল ঘোষের কথায়, ‘‘ব্যবসায়ীরা আলু নিতে হিমঘরে যাচ্ছেন না। লোকসানের ধাক্কায় আমাদের কোমর ভেঙে গিয়েছে।’’
মেয়াদ ফুরনোয় মঙ্গলবার থেকে অনেক হিমঘর মালিক আলুর বস্তা বাইরে বার করে রাখছেন। বর্ধমানের হিমঘর সংগঠনের নেতা কৌশিক কুণ্ডু বলেন, ‘‘নিলামে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’’ হিমঘরে আলু রাখার সময়ে কোনও টাকা দিতে হয় না। মরসুম শেষে আলু বার করার সময়ে হিমঘরের ভাড়া মেটাতে হয়। ব্যবসায়ীরা আলু নিতে না আসায় লোকসান অবশ্যম্ভাবী। পতিতপাবনবাবুর দাবি, ‘‘এই শিল্প প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়ল।’’
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের আলু অন্য রাজ্যগুলির বাজার দখল করায় এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ধান, পাটের মতো সরকারকে আলুর সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। উৎপাদিত আলুর কিছুটা সরকারকে কিনতে হবে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার অবশ্য বলেন, ‘‘রাজ্যের আলুচাষিরা এ বছর ভাল দাম পেয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় হিমঘরে আলু আটকে রেখেছিলেন। তখন উত্তরপ্রদেশের ব্যবসায়ীরা কম লাভে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসমে আলু বিক্রি করেছেন।’’ রাজ্য সরকার আলু পরিবহণে ভর্তুকিও দিয়েছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy