Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Asansol

কয়লা উত্তোলনে খনিমুখে বিস্ফোরণের জেরে ধস, আসানসোলে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ৩০টি বাড়ি

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আসানসোল পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িরা গ্রামে সংস্থার কয়লা খনির মুখে বিস্ফোরণ করানো হয়।

—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ২৩:০৮
Share: Save:

খনিমুখে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কয়লা উত্তোলনের সময় ধস নামল আসানসোলে। এর জেরে কম পক্ষে ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কয়লাখনির মুখে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছিল, সেই ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (বিসিসিএল)-এর আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকাবাসীর জীবন নিয়ে মাথাব্যথা নেই বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের। বিসিসিএল-এর কাছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পুর্নবাসনের প্যাকেজ দাবি করেছে তৃণমূল। যদিও বিসিসিএল-এর পাল্টা দাবি, বেআইনি ভাবে সংস্থার জমি দখল করে রয়েছে কয়েক জন। এ নিয়ে রবিবার সমস্ত পক্ষের সঙ্গেই বৈঠক করবে বিসিসিএল।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আসানসোল পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বড়িরা গ্রামে সংস্থার কয়লা খনির মুখে বিস্ফোরণ করানো হয়। তার জেরে এলাকায় ধস নামে। উদয় রবিদাস স্থানীয় বাসিন্দা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “২৫-৩০টা ঘরে ফাটল ধরে গিয়েছে। আরও ঘরে চিড় ধরছে।”

গোটা ঘটনায় বিসিসিএল-কে কাঠগড়ায় তুলেছেন যুব তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এই ওয়ার্ডে বার বার ধস নামছে। ১৯৯৯ ও ২০০১ সালেও ধস নেমেছিল। স্থানীয়দের জীবনের ঝুঁকি সত্ত্বেও পুরো অবৈজ্ঞানিক ভাবে বিস্ফোরণ করানো হচ্ছে। বিসিসিএল কোনও কথাতেই কর্ণপাত করে না। ক্ষতিগ্রস্তদের পুর্নবাসন প্যাকেজ দেওয়া হোক।”

ঘটনার পর এলাকায় সার্ভে করা হয়। তবে বিসিসিএল-এর দামাগড়িয়া কোলিয়ারির ডেপুটি ম্যানেজার সুমন্ত রায়ের দাবি, “বেআইনি ভাবে জমি দখল করে রয়েছেন কয়েক জন। খনিমুখে বিস্ফোরণের জন্য তাঁদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বলা হলেও সরেনি। এ নিয়ে রবিবার সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Asansol BCCL
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE