ভোট দিয়ে বেরোচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিজস্ব চিত্র।
জামুরিয়া বিধানসভার চিচুড়িয়া এলাকায় আর এন কলোনির বুথ থেকে বাড়িতে খেতে যাওয়ার সময় বিজেপি বুথ এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত এজেন্টের নাম গৌতম মন্ডল। তিনি বিজেপির জামুরিয়া ব্লক ২-র মণ্ডল সভাপতি।
ভোটগ্রহণ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হল বিশপ কলেজে। সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিমের দাবি এই বুথে রিগিং করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ইভিএম খারাপ হওয়ায় ভোটগ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পরে ইভিএম বদলে দেওয়া হয়।
লাউদোহার কাছে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গাড়ি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘ নির্বাচন কমিশনের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আমাকে আটকানো হল। কয়লা চোর-লোহা চোর-বালি চোরদের দিয়ে ভোট লুঠ করাচ্ছে এখানকার থানার ওসি। তাই আমাকে আটকানো হয়েছে।’’ প্রায় দু'ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছাড়া হয় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
বরাবনিতে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। বরাবনিতে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সৌমিক সেনগুপ্তের নির্দেশে সংবাদমাধ্যমের গাড়ি জোর করে আটকে দেয় পুলিশ। তবে আটকানোর বিষয়ে কোনও রকম কাগজ বা অর্ডার দেখাতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করেছেন। সংবাদমাধ্যমের গাড়ি কেন আটকে দেওয়া হল তা জানতে চেয়েছে কমিশন। সাংবাদিকরা অবাধে সব জায়গায় খবর করতে পারবে বলেও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন। ৪০ মিনিট পরে সাংবাদিকদের আবার যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।
কমলা চ্যাটার্জি ফর গার্লস স্কুল বুথের ভিতরে কলকাতা পুলিশের উপস্থিত থাকার অভিযোগ। এই নিয়ে তৃণমূলের এজেন্টের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের বচসাও হয়।
আসানসোল উত্তরের কল্যাণপুর হাউজিং-এ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো লাগানো গাড়িতে করে ঘরে ঘরে রুটি-মাংস-মিষ্টি বিতরণ করার অভিযোগ। বিতরণকারীদের বক্তব্য, তাঁদের গরিব মানুষদের মধ্যে খাবার বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১১টা পর্যন্ত বালিগঞ্জে ভোট পড়ল ১৬.২০ শতাংশ। ২৬.৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে আসানসোলে।
অগ্নিমিত্রার অভিযোগ, ‘‘বরাবনিতে আমাদের উপর আক্রমণ করেছে পরিকল্পনা করে। আর পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে আছে। বরাবনির ওসিকে সরানোর অনুরোধ করব। পুলিশ বুথের ভিতরে গিয়ে জল খাচ্ছে। এটা করতে পারে না।’’
মলয় ঘটকের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘অবজার্ভাররা প্রথম দিন থেকে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। আমাদের প্রার্থীকে সাত দিন সাসপেন্ড করা হয়েছে। অথচ অগ্নিমিত্রা ‘মার কা বদলা মার’ বলে হুমকি দিয়েছেন। সকাল থেকে অগ্নিমিত্রা ১০-১২টা গাড়িতে বিজেপি-র গুন্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের কোনও আইন নেই যে, মোবাইল নিয়ে ভিতরে ঢোকা যাবে না। উনি অভিযোগ করলেই হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি-র হয়ে কাজ করছে। আমরা কমিশনে অভিযোগ করেছি।’’
আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা আসানসোল পৌঁছন সকাল ১০টা নাগাদ। তিনি জানান স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তিনি সবসময়ই যোগাযোগ রেখেছিলেন। ভোট পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে যা খবর আছে, তাতে সব জায়গায় ভোট শান্তিুপূর্ণ ভাবে হয়েছে।’’ পাশাপাশি অগ্নিমিত্রা পালের উপর হামলার অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করে কোনও বিতর্কে জড়াবেন না বলেই জানান।
রানিগঞ্জের খান্দ্রা এলাকায় ভোটারদের অগ্নিমিত্রা পালকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন বিজেপি পোলিং এজেন্টরা। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের কর্মীদের। তৃণমূলের বুথ এজেন্টরা প্রিসাইডিং অফিসারকে বিষয়টি জানালেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি বলেও অভিযোগ শাসকদলের।
বালিগঞ্জ নির্বাচনী কেন্দ্রের ১৩৪ এবং ১৯৯ নম্বর বুথে ইভিএম মেশিনে ত্রুটি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন ইভিএম মেশিনে লাগানো হয়। নতুন ইভিএম বদলানোর সময়টুকু ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
বালিগঞ্জের বিভিন্ন বুথে ভুয়ো ভোটারদের দিয়ে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অভিযোগ ৫৯ নম্বর বুথ, লরেটো ডে স্কুল-সহ বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা ভোট পড়ছে।
বরাবনি নির্বাচনী এলাকার ১৭৭ এবং ১৭৮ লম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল এবং দলের প্রতিনিধি অরিজিৎ রায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৭৫ এবং ১৭৬ নম্বর বুথের কাছেও অগ্নিমিত্রার কনভয়ের উপর আক্রমণ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় রিপোর্ট চাইল কমিশন। পুলিশের সামনেই হামলা চালানোর অভিযোগ অগ্নিমিত্রার।
মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের বরাবনিতে ২০টি গাড়ির কনভয় নিয়ে ঘোরার অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে। এইভাবে অগ্নিমিত্রা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন বলেও দাবি তৃণমূল কর্মীদের। রিটার্নিং অফিসারকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে, বলেও জানান তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা।
আসানসোল দক্ষিণের ২৬১, ২৬২ এবং ২৬৩ বুথে ভোটারদের বিজেপিতে ভোট দিতে প্ররোচিত করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনই অভিযোগ শাসকদলের কর্মীদের। পাশাপাশি আসানসোল উত্তরের ৩৪ নম্বর বুথে ভোটারদের ফোন নিয়ে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে।
বরাবনির ২৪১ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ। পরে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা সেখানে গেলে পুলিশ তাঁকে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন অগ্নিমিত্রা।
বরাবনিতে একজনের হয়ে আরেকজন ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ। নির্বাচন কমিশনের তরফে সরিয়ে দেওয়া হল ওই বুথের প্রিজাইডিং অফিসারকেও। কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চাইল কমিশন।
লেডি ব্রেবোর্ন বুথের কাছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তবে এই কেন্দ্রে এখনও ভোটের লাইনে ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। সকাল থেকেই বাবুল বিভিন্ন বুথে ঘুরে ঘুরে ভোট পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। তবে সাউথ পয়েন্টের কাছে তাঁকে আটকানোও হয়। এই প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘‘ওরা ওদের কাজ করুক। আমি কোনও তর্কে যায়নি। ভোট শান্তিপূর্ণ হোক।’’
দেহরক্ষী নিয়ে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছনোর অভিযোগ উঠল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার বিরুদ্ধে। অভিযোগ তৃণমূলের। আসানসোল উত্তরের ৪৩ নম্বর বুথে দেহরক্ষী নিয়ে ঢুকতে দেখা দেল তাঁকে।
ইভিএম মেশিনের সঙ্গে ভিভি প্যাড কানেক্টেড না হওয়ার ফলে এখনও ভোট গ্রহণ শুরু হল না সালানপুর ব্লকের বাঁশ কেটিয়ার ৪৪ নম্বার বুথে। ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ।
জামুড়িয়ার বিধানসভার ঝোসকা কমিউনিটি হলে ভোটকক্ষ খােলার দাবিতে সরব তৃণমূল নেতা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করলেও তাঁর দাবি মানেননি বাহিনীর সদস্যরা। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগও ওঠে। পরে এই কেন্দ্রে নির্বিঘ্নেই শুরু হয় ভোটগ্রহণ পর্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy