অনুব্রত মণ্ডল
বন্দিদশাতেও প্রশ্নের মুখে তাঁর নিরাপত্তা। গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি। অনুব্রতকে আদালতের শুনানি প্রক্রিয়ায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হোক— বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে চিঠি দিয়ে এমন আবেদনই করলেন আসানসোল জেলের সুপার কৃপাময় নন্দী। তাঁর আবেদন, আগামী শুনানিতে অনুব্রতকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নিতে দেওয়া হোক। স্কুলে নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। ঘটনাচক্রে, তাঁকেও জেল কর্তৃপক্ষেরই আবেদনের ভিত্তিতে সাম্প্রতিক শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়। অনুব্রতের ক্ষেত্রেও এ বার সেই পথে হাঁটলেন আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ অগস্ট অনুব্রতকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সম্প্রতি বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারের হাসপাতালে রয়েছেন অনুব্রত। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আগামী ৭ অগস্ট আবার আদালতে তাঁকে হাজির করানোর কথা। তার আগে বিচারককে চিঠি দিলেন জেল সুপার। চিঠিতে তিনি জানান, অনুব্রতকে জেলের বাইরে বার করা হলেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষ। এতে জেল কর্তৃপক্ষকে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন তো হতেই হয়, পাশাপাশি অনুব্রতের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে। তাঁর আবেদন, নিরাপত্তার কারণে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির ব্যবস্থা করা হোক।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পুরনো একটি মামলায় কলকাতায় সাংসদ-বিধায়কদের জন্য নির্দিষ্ট আদালতে হাজির করানো হয় অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, আসানসোল সংশোধনাগার থেকে তাঁকে বার করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া এবং শুনানি শেষে আবার তাঁকে ফিরিয়ে আনার ওই সময়টুকুর মধ্যে অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে জেল কর্তৃপক্ষকে। আদালত চত্বরে বিপুল মানুষের জমায়েতের মধ্য দিয়ে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসার ক্ষেত্রে হিমশিম খেতে হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের। জমায়েত থেকে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘গরু চোর’ বলে কটাক্ষও ছু়ড়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। মনে করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি নজরে রেখেই বিচারকের কাছে আবেদন করেছেন জেল সুপার।
পার্থের ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করেছিলেন প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। কারণ, পার্থও কারাগারের বাইরে, আদালত চত্বরে বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন। হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দিনে তাঁকে নিশানা করে জুতো ছোড়ার ঘটনাও ঘটে। এই সব ঘটনা নজরে রেখেই ভার্চুয়াল শুনানিতে সম্মতি দিয়েছিলেন কলকাতার বিশেষ ইডি আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জীবন সাধুখাঁ। অনুব্রতের ক্ষেত্রে সেই অনুমতি মিলবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy