নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
কল্যাণী এমসে চাকরি দুর্নীতির ঘটনায় এক নতুন অভিযোগ ফের অস্বস্তি বাড়াল বিজেপি-র।
এ বার নদিয়ার রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক, বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ তুললেন হবিবপুরের বাসিন্দা এক যুবক। রানাঘাট থানায় এই মর্মে তিনি একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। এর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মুকুটমণি এ দিন বলেন, “আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এটাও ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ সব বোঝে।” অভিযোগকারী যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিধানসভা ভোটের আগে মুকুটের সঙ্গে তাঁর আলাপ। পরে মুকুট তাঁকে জানান, এমসে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ করিয়ে দিতে পারেন। তার জন্য যথাক্রমে ১০ লক্ষ এবং ৮ লক্ষ টাকা করে লাগবে। যুবকের অভিযোগ, তিনি তাঁর দোকান বিক্রি করে আড়াই লক্ষ টাকা জোগাড় করে দেন। প্রতিশ্রুতি দিলেও মুকুটমণি পরে আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে অভিযোগ।
এমসে চাকরি-দুর্নীতির ঘটনায় ইতিমধ্যে একাধিক বিজেপি নেতার নাম জড়িয়েছে। বিজেপির গয়েশপুরের এক নেত্রী প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এমসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে তাঁর কাছ থেকে দলের এক সাংসদ টাকা চেয়েছিলেন। এর পরই ওই নেত্রীকে পদ থেক সরিয়ে দেওয়া হয়।
এমস-এ নিয়োগ-দুর্নীতির বিষয়ে কল্যাণীর এক বিজেপি কর্মী অমিত শাহর কাছে মেল করে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কল্যাণী থানায় এক জন বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে ঘনিষ্ঠদের অবৈধ ভাবে এমসে চাকরি দেওয়ার অভিযোগও আনেন। এর তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যখন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক তথ্য সামনে আসছে, তখন নজর ঘোরাতেই প্রথমে জেলা ভাগ হল, তার পর পুজো অনুদান ঘোষণা হল। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। তাই এই অভিসন্ধি হতে পারে।”
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায়ের কথায়, “এমসে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে এর আগে অভিযোগ তো বিজেপির লোকই করেছেন। এখন তৃণমূলের দিকে আঙুল না তুলে ওরা তদন্তের সামনে দাড়ান না কেন?”
এ দিকে, নদিয়ার চাকদহ রেল স্টেশনে এমসের চাকরির ফর্ম বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেখানকার পুলিশ ও হকারেরা জানিয়েছেন, এমসের ফর্ম বিক্রির কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই।
তথ্য সহায়তা: সৌমিত্র সিকদার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy