—প্রতীকী চিত্র।
ডাক্তারিতে ভর্তির নামে প্রতারণা চক্র শুধু কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল (জেএনএম) কলেজে সীমাবদ্ধ নয়, অন্য নানা মেডিক্যাল কলেজেও এই চক্র সক্রিয় বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তদন্তকারীদের দাবি, এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে বিভিন্ন জায়গার ছ’জন প্রায় ২১ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। যদিও তাঁদের দেওয়া জাল নথি ব্যবহার করে কোনও মেডিক্যাল কলেজেই এখনও কেউ ভর্তি হতে পারেনি।
গত বৃহস্পতিবার ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন জেএনএম চত্বর থেকে সঞ্জীব ঝা, মানালি দাস ও রত্না দাস নামে তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। প্রথম জন বিহারের বাঁকা জেলার বাসিন্দা, বাকি দু’জনের বাড়ি কলকাতার কালীঘাট এলাকায়। নদিয়ার কল্যাণী থানায় পুলিশ হেফাজতে তাদের জেরা করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, সৌরভ দাস নামে এক জন এই চক্রের পান্ডা বলে জেরায় উঠে আসছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত তার নাগাল পাওয়া যায়নি। সঞ্জীব ছাড়াও বিহারের আরও এক জনের যোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
ডাক্তারিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘নিট’-এর ফল বেরোনো ইস্তক এই চক্র সক্রিয় রয়েছে। দাবি, নিট উত্তীর্ণের তালিকায় শেষ দিকে থাকা প্রার্থীরাই এদের নিশানা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই প্রার্থীদের ফোনে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে পছন্দের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানোর আশ্বাস দেয় অভিযুক্তেরা। কিন্তু অনলাইন বা সরাসরি টাকা নেওয়া হয়ে গেলেই যোগাযোগ বন্ধ। ফোনের নম্বরও পাল্টে ফেলা হয়। এখনও পর্যন্ত কেবল জেএনএমে ভর্তির নাম করে দু’জনের থেকে ১৩ লক্ষ টাকা হাতানোর লিখিত অভিযোগ হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যাল ও ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের মতো কয়েকটি জায়গায় ভর্তির টোপে অন্তত আরও চার জন প্রতারিত হয়েছেন বলে তদন্তে উঠে আসছে।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, সঞ্জীবের সঙ্গে রত্না বা মানালির আগে থেকে তেমন পরিচয় ছিল না। কলকাতার রুবি হাসপাতালের কাছে একটি মদের ঠেকে সৌরভের সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। সৌরভই তাকে গোটা পরিকল্পনা জানায় বলে দাবি। জাল নথিপত্র প্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দিলে প্রতি ক্ষেত্রে ১৫ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে দেবে বলে সে জানিয়েছিল। কল্যাণীতে সঞ্জীব আলাদাই যায়। জানা গিয়েছে, সৌরভ ফোনে তাকে বলে দিয়েছিল, মানালি আইনজীবীদের মতো পোশাক পরে থাকবে, ফলে তাকে চিনতে অসুবিধা হবে না। রত্নার সে দিন কল্যাণী যাওয়ার কথা ছিল না। মানালিই তাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। তবে সৌরভের নাম আয়সলে ‘সৌরভ দাস’ই কি না, তা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। প্রতারণার অনলাইনে কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy