—ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করল এসএসসি। দুপুরে হাই কোর্ট বলেছিল, উচ্চ প্রাথমিকের আটকে থাকা প্যানেলের নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি জানিয়ে দিল, তারা কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তিও দেবে। হাই কোর্টের নির্দেশ মেনেই দেওয়া হবে ওই বিজ্ঞপ্তি।
এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আটকে ছিল উচ্চ প্রাথমিকের প্রায় ৯০০০ শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এঁদের নাম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালের প্যানেলে। কিন্তু তার পর কাউন্সেলিং হয়নি। এ ব্যাপারে এসএসসির তরফেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। মঙ্গলবার হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ অর্থাৎ কাউন্সেলিং শুরু করতে পারে। তবে নিয়োগ হবে আদালত নির্দেশ দিলে তবেই।
আদালতের এই নির্দেশের পরই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘বড় জট কাটল। আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেল এসএসসি। আমরা দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করব। আজ (মঙ্গলবার) থেকে সরকারি হিসাবে ছুটি পড়ে যাচ্ছে এসএসসিতে। তবে আদালতের এই নির্দেশের জন্য কালও (বুধবারও) কাজ হবে। পুজোর পরে ৩০ অক্টোবর কাউন্সেলিংয়ের কললেটার আপলোড করবে এসএসসি। যাঁরা প্যানেলে রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে সেই কললেটার ডাউনলোড করে নিয়ে কাউন্সেলিংয়ে যোগ দিতে হবে।’’
এসএসসি সূত্রে অবশ্য খবর, কাউন্সেলিংয়ের একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি আগামিকাল অর্থাৎ বুধবারই প্রকাশ করতে পারে এসএসসি। তবে সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চয়তা নেই। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হোক বা না হোক ৩০ অক্টোবর অর্থাৎ লক্ষ্মীপুজোর এক দিন পরে সোমবার কললেটার প্রকাশ করা হবেই। তার পরে শুরু হবে কাউন্সেলিং।
এসএসসির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘‘মোট ১৪৩৩৯টি শূন্যপদ রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকে, তার মধ্যে ২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ৯০০০ জনকে প্রথমে ডাকা হবে। তার পর নেওয়া হবে ওয়েটিং লিস্ট থেকে।’’
তবে এসএসসি সূত্রে খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে এখনই সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শুধু কাউন্সেলিং করানো যাবে। তবে চেয়ারম্যান আশাবাদী, ভবিষ্যতে সেই নির্দেশও পাওয়া যাবে। এসএসসি সুপারিশপত্র দিলে তার পর আসে নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়ার পর্ব। এতদিন ওই দায়িত্ব পালন করত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু এসএসসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পর নিয়োগপত্র দেওয়ার দায়িত্বও পর্ষদের হাতে থাকছে না। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগপত্র দেবে। এই নিয়োগপত্র দেওয়াকে কেন্দ্র করে নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু বার নাম জড়িয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy