সাংবাদিক সম্মেলনে মেজর জেনারেল সুনীল যাদব। ছবি: টুইটার।
রাজ্যে সেনা কর্মসূচি কি নবান্নকে জানিয়ে করা হয়েছিল? বৃহস্পতিবার সারা দিন এবং সারা রাত ধরে দাবি পাল্টা দাবির পর শুক্রবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে সেনার তরফে দাবি করা হল, রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েই এই কর্মসূচি করছে বাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ড।
সাংবাদিক সম্মেলনে বেঙ্গল এরিয়ার ভারপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সুনীল যাদব বলেন, “এই একই জায়গাগুলিতে গত বছরও ১৯-২১ নভেম্বর এই কর্মসূচি হয়েছিল। এ বার আমরা ২৬-২৮ নভেম্বর কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু ২৮ তারিখ বন্ধ হওয়ায় কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে দিন বদল করা হয়। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আমরা যৌথ ভাবে এই জায়গাগুলি রেইকিও করেছিলাম। অপারেশন মহাসঞ্চালনের সেই চিঠি দেওয়া হয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার পুলিশ কমিশনার, হাওড়ার জেলাশাসক এবং এইচআরবিসিকে। প্রতি এলাকার ক্ষেত্রে আলাদা করে যোগাযোগ করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে।”
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এটা তাদের রুটিন কর্মসূচি। কখনও যুদ্ধের পরিস্থিতি হলে রসদ ও পানীয় জল বিভিন্ন ছাউনিতে পৌঁছনোর জন্য প্রচুর মালবাহী গাড়ির প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জওয়ানরা কত গাড়ি নিতে সক্ষম, দু’দিন ধরে পূর্ব ভারতের সব রাজ্যে সমীক্ষার মাধ্যমে তারই হিসেবনিকেশ চলছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অসমের ১৮টি, অরুণাচল প্রদেশের ১৩টি, মণিপুরের ছ’টি, নাগাল্যান্ডের পাঁচটি, মেঘালয়ের পাঁচটি জায়গায় এই কর্মসূচি চলছে বলে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সেনা। কর্মসূচি চলছে ত্রিপুরা এবং মিজোরামেও। প্রতিটি দলে ৫ থেকে ১০ জন নিরস্ত্র জওয়ান রয়েছেন। তাঁরা ভারী গাড়িগুলির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য নিচ্ছেন। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশেও একই ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছে বলে এ দিন জানিয়েছে সেনা।
রাজ্যকে কর্মসূচি জানিয়ে সেনাবাহিনীর চিঠি
সবিস্তারে দেখতে নিচের লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করুন...
বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ডানকুনি, পালসিট এবং মুর্শিদাবাদে টোল প্লাজায় গাড়ি থামিয়ে সেনা তল্লাশি চালাচ্ছে। দাবি করেন, রাজ্যে ৮০ শতাংশ জেলায় সেনা নেমেছে। এই ঘটনাকে সেনা অভ্যুত্থানের সঙ্গে তুলনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন টোল প্লাজা থেকে যত ক্ষণ না সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে তত ক্ষণ তিনি নবান্ন ছেড়ে যাবেন না বলেও জানিয়ে দেন। গত কাল সারা রাত নবান্নতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক স্বার্থেই সেনাকে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এমনকী নবান্নের সামনে বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজাতেও এই কারণেই সেনা নামানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘পুলিশ কমিশনার সেনাকে বলেছিলেন এখান থেকে সরে যেতে। কারণ এটা স্পর্শকাতর এলাকার মধ্যে পড়ে। কিন্তু তার পরেও তারা সরেনি।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাত্ করে সেনার তরফে এ দিন নথি দিয়ে জানানো হয়েছে, সপ্তাহখানেক আগেই বিদ্যাসাগর সেতুর টোল প্লাজায় সমীক্ষার কথা জানানো হয়েছিল রাজ্যকে। জওয়ানদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর টাকা তোলার অভিযোগও এ দিন উড়িয়ে দিয়েছে সেনা।
আরও পড়ুন- টোল প্লাজায় সেনা কেন? সারারাত নবান্নে ঘাঁটি গেড়ে মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy