ছবি সংগৃহীত।
কলেজ সার্ভিস কমিশনের ২০১৮ সালের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে নিয়োগের যে সব প্যানেল তৈরি হয়েছে তা যেন এই করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল না হয়। এই আর্জি জানিয়ে বিষয়টি বিবেচনার জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতরে পাঠাল কমিশন।
কলেজগুলির শূন্য পদে নিয়োগের জন্য কমিশন যে প্যানেল তৈরি করে তার মেয়াদ থাকে এক বছর। ওই প্যানেলে শূন্য পদের দ্বিগুণ সংখ্যক প্রার্থীর নাম থাকে। ২০১৮ সালে নিয়োগের বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ হয়। এর পর প্রথম প্যানেল বেরিয়েছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। সর্বশেষ প্যানেল বেরোয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। লকডাউন শুরু হওয়ায় প্যানেলগুলি থেকে নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এতটা সময় নিয়োগ বন্ধ থাকার জন্য কয়েকটি প্যানেলের মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ওই প্যানেলগুলি বাতিল বলে যাতে ধরা না হয়, সেই জন্যই উচ্চ শিক্ষা দফতরে বিষয়টি পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
স্বভাবতই যাঁরা ওই সব প্যানেলভুক্ত তাঁরা প্যানেল বাতিল নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। উদ্বিগ্ন প্রার্থীরা কলেজ সার্ভিস কমিশনে যোগাযোগও করছেন।
কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক, চুক্তিভিত্তিক পূর্ণ সময়ের শিক্ষক এবং অতিথি শিক্ষক, এই তিন ধরনের পদ তুলে দিয়ে একটিই পদ এখন গড়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এঁদের নাম দিয়েছেন স্টেট এডেড কলেজ টিচার (স্যাক্ট)। এঁদের বেতনও বাড়ানো হয়েছে। তবে অগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রীর এই নতুন পদ ঘোষণার পরেই প্রশ্ন ওঠে, এ ভাবে কলেজের শিক্ষকপদ পূরণ করে কি কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধ করার পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার? কলেজে চয়েস বেসড ক্রেডিট সিস্টেম (সিবিসিএস) পঠনপাঠন চালু হওয়ার পরে ক্লাস চালাতে গিয়ে জেরবার হয়ে যাচ্ছে কলেজগুলি। তবে কি এই ভাবে শিক্ষক-সঙ্কট মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে? কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রের খবর, কমিশনের নিয়োগের সঙ্গে স্যাক্ট- এর কোনও সম্পর্ক নেই। কলেজের শূন্য পদ পূরণের জন্য কমিশন যে ভাবে প্যানেল গঠনের পরে নিয়োগ করে, সে ভাবেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy