ফেসিলিটি ম্যানেজার পদে নিয়োগের জন্য বাছাই তালিকার একাংশ।
রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার (গ্রুপ-থ্রি) পদে নিয়োগের বাছাই তালিকা ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে নিয়োগ-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কের অবসান ঘটাতে বৃহস্পতিবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। সেই বিজ্ঞপ্তির মোদ্দা কথা, কর্মপ্রার্থীদের দেওয়া শিক্ষাগত বা অন্য তথ্য প্রমাণ করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদেরই।
৮১৯টি পদের জন্য মোট সাড়ে তিন লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার ১৬ হাজার প্রার্থীর বাছাই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে বোর্ড। বিতর্কের মূলে রয়েছে সেই তালিকাটিই। তাতে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ প্রার্থীই উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক স্তরে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, ওই সব প্রার্থীর মধ্যে বি টেক, মেকানিক্যাল এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার যেমন রয়েছেন, আছেন বিজ্ঞান বিভাগের কৃতী ছাত্রছাত্রীরাও। অথচ সরকারি হাসপাতালে ওয়ার্ডমাস্টার তথা ফেসিলিটি ম্যানেজার পদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা ছিল স্নাতক। এই ধরনের চাকরি পেতে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরও মরিয়া হয়ে উঠতে দেখে স্বাস্থ্য ভবনের আধিকারিকেরাও বিস্মিত। বিভিন্ন প্রার্থী উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতকে যে-নম্বর পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন, তা ভুয়ো কি না, সেই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
এই অবস্থায় এ দিন রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের নিয়ম না-মেনে নিজেদের খুশিমতো নম্বর দিয়ে থাকতে পারেন আবেদনকারীদের একাংশ। কিছু ক্ষেত্রে যেখানে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর চাওয়া হয়েছিল, সেখানে সব বিষয়ের শতাংশের হিসেবে নম্বর দিয়ে বসে আছেন কোনও কোনও আবেদনকারী। তাই বাছাই তালিকার প্রত্যেক প্রার্থীকে জন্মের শংসাপত্র, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক স্তরের মার্কশিটের প্রতিলিপি আনতে বলা হয়েছে যাচাইয়ের জন্য। আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ড এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদেরও নম্বরের প্রামাণ্য নথি হিসেবে আসল মার্কশিট আনতে হবে।
নথি যাচাইয়ে কোনও রকম গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর আবেদন পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যাবে। ১৬ হাজারের মধ্যে যদি কেউ বাদ পড়েন, তাঁদের জায়গায় মেধার ভিত্তিতে সাড়ে তিন লক্ষের মূল তালিকা থেকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। কেন বাদ পড়লেন, তা-ও জানিয়ে দেওয়া হবে ওয়েবসাইটে। ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গে যাতে আপস করা না-হয়, তাই এই বিজ্ঞপ্তি। কে কত নম্বর পেয়েছেন, তা আবেদনকারীকেই প্রমাণ করতে হবে,’’ বলেন স্বাস্থ্য ভবনের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy