প্রতীকী চিত্র
পানীয় জলের সমস্যা থেকে মঙ্গলবারেও পুরোপুরি মুক্তি মিলল না গঙ্গা লাগোয়া বিভিন্ন পুর এলাকার বাসিন্দাদের। তবে, ঘোলা জলের সমস্যা অনেকাংশে মিটেছে বলে কেএমডিএ এবং বিভিন্ন পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই কেএমডিএ-র প্রকল্পে সরবরাহ হওয়া জল নিরাপদ বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে, সরবরাহ শুরু হলেও তার গতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সন্ধ্যায় কেএমডিএ-র সিইও অন্তরা আচার্য জানান, জলের গুণমান পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। ফলে, মানুষ নির্ভাবনায় এই জল খেতে পারেন।
রবিবার থেকে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, উত্তর শহরতলি, সল্টলেক এবং হুগলি ও হাওড়ার গঙ্গাঘেঁষা যে সব পুরসভায় কেএমডিএ-র জলপ্রকল্পে গঙ্গার জল নিয়ে শোধন করে সরবরাহ করা হয়, তাতে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। কলে ঘোলা জল পড়তে থাকে। গঙ্গার জলে অস্বচ্ছতার মাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়াতেই এই পরিস্থিতি হয় বলে কেএমডিএ জানায়। ঘোষণা করা হয়, সোমবার সকাল থেকে ওই জল খাওয়া যাবে না। পুরসভাগুলি নিজস্ব পাম্প চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। সর্বত্র অবশ্য ওই জল পৌঁছয়নি। অনেক ক্ষেত্রে পুরসভা জলের গাড়ি পাঠায়। বহু লোক জল কিনে খান।
মঙ্গলবারেও একই পরিস্থিতি হয়। কেএমডিএ-র তরফে এও জানানো হয়েছে, স্বাভাবিক সময়ে যে পরিমাণ জল সরবরাহ করা হয়, তা আপাতত সম্ভব নয়। কারণ, প্রযুক্তির সাহায্যে যে পরিমাণ জল গঙ্গা থেকে তুলে শোধন করে সরবরাহ করা হয়, তা করা যাচ্ছে না। সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, গঙ্গায় জল ঘোলা রয়েছে। রবিবারের তুলনায় অস্বচ্ছতার মাত্রা কমলেও সাধারণ সময়ের তুলনায় বেশিই রয়েছে। জলপ্রকল্পের পাম্পে পূর্ণমাত্রায় গঙ্গা থেকে জল তোলা হলে আগের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন ফের জল সরবরাহ বন্ধ রাখতে হতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী গঙ্গা থেকে জল তোলার পরিমাণ বাড়ানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy