বিয়ের পিঁড়িতে সঙ্গীতা-শুভঙ্কর। (ডান দিকে) তখন ধর্নায় সঙ্গীতা। —নিজস্ব চিত্র।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসা ধূপগুড়ির সেই নাছোড় তরুণীর ইচ্ছেপূরণ হল! বৃহস্পতিবার খুট্টিমারিতে ওই তরুণী এবং তাঁর প্রেমিকের বিয়ের সানাই বাজল। স্বল্প সময়ের আয়োজনে জাঁকজমকে ভরা অনুষ্ঠানে তারই সাক্ষী রইলেন দুই পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন, পাড়াপড়শি। সঞ্জিত রায়ের পর ধর্নার জেরে আরও একটি বিয়ের সাক্ষী রইল ধূপগুড়ি।
ধূপগুড়ি ব্লকের খুট্টিমারি এলাকার বনসহায়িকা সঙ্গীতা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হল শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শুভঙ্কর রায়ের। বৃহস্পতিবার ব্যান্ডপার্টি-সহ বরের বেশে সঙ্গীতার বাড়িতে হাজির হন শুভঙ্কর। সেখানেই যাবতীয় আচার মেনে সঙ্গীতা-শুভঙ্করের চার হাত এক হয়। এই অনুষ্ঠানে আয়োজনের খামতি ছিল না। এলাকাবাসীদের মতে, দু’জনের বিয়ে হওয়ায় যাবতীয় নাটকের সমাপ্তি ঘটল।
৫ মে শুভঙ্করের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন সঙ্গীতা। ওই দিন সকাল থেকে ধর্নায় নিজের দাবিতে অনড় বসেছিলেন তিনি। সঙ্গীতার বক্তব্য, তাঁর সঙ্গে শুভঙ্করের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। আগে তাঁদের বিয়েতে রাজি হলেও এখন বেঁকে বসেছেন শুভঙ্কর। তবে ওই সন্ধ্যায় পুলিশ এসে সঙ্গীতাকে ধূপগুড়ি থানায় নিয়ে যায়।
তখনও বিয়েতে নারাজ থাকায় শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন সঙ্গীতা। এর পরেই বরফ গলতে শুরু করে। দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়। অবশেষে সোমবার ৯ মে দু’পক্ষ বিয়েতে রাজি হয়। দু’জনের সম্পর্ক স্বীকার করে নেন শুভঙ্করের বাবা।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেও বিয়ের দাবি নিয়ে ধর্নার সাক্ষী ছিল ধূপগুড়ি। সোমবার নিজের প্রেমিকার বাড়ির সামনে বৃষ্টি মাথায় করেই ধর্নায় অনড় ছিলেন সঞ্জিত রায় নামে এক যুবক। ধূপগুড়ি পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠান্ডু রায়ের বাড়ির সামনে বসে তাঁর মেয়ে লক্ষ্মী রায়ের সঙ্গে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন তিনি। ওই রাতেই ‘লক্ষ্মীলাভ’ হয়েছিল সঞ্জিতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy