মমতা বলেছেন,‘‘আন্দোলন সবাই করতে পারে, সে অধিকার সবার আছে! কিন্তু বাংলাকে কামড়াতে আঁচড়াতে দেব না’’
আনিস হত্যার বিহিত না হলে পথে নেমে আন্দোলন করার পণ করেছেন নিহত ছাত্র নেতার সহপাঠী এবং সহমর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বললেন, আন্দোলনের নামে বাধা দেওয়াটা ফৌজদারি অপরাধ। সেটা যেন তাঁরা ভুলে না যান। এমনকি আন্দোলনকারীদের নাম মুখে না বললেও মমতা দৃঢ় ভাবেই জানিয়ে দেন, আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু রাস্তা আটকে নয়। সেটা তিনি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
ছাত্র নেতা আনিসের হত্যার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার মহাকরণ অভিযান করেছিলেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাঁদের। এমনকি বুধবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন মূল রাস্তায় আনিসের সমর্থনে মিছিল করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। মমতার সভা ছিল বিকেলে নবান্ন সভাঘরে। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ‘‘পলিটিক্যাল কারণে কেউ কেউ অতিরিক্ত করে ফেলছেন... গত কাল কলকাতায় খুব ডিস্টার্বড ফিল করেছেন মানুষ। কেউ এয়ার পোর্টে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে বিমান ধরতে পারেননি।’’
মমতা অবশ্য যখন এই ঘোষণা করেছেন তারপরেও আনিস কাণ্ডে তদন্তের দাবিতে গোলপার্কে মশাল নিয়ে মিছিল করেছেন ছাত্ররা। মমতা এই ছাত্র আন্দোলনকারীদের বেশ কড়া ভাবেই বলেছেন, ‘‘আমিও আন্দোলন করে বড় হয়েছি। আমাকে যেন বেশি কেউ আন্দোলন না শেখায়। যাঁরা রাজনীতি করছেন, তাঁরা এটাও মনে রাখুন অবস্ট্রাকশন হল ফৌজদারি অপরাধ।’’
এই অবস্ট্রাকশন বলতে তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘নিশ্চয়ই আপনাদেরও আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু রাস্তা অবরোধ করে কী লাভ? তাতে তো মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কেউ অফিস থেকে ফিরবেন, কেউ স্কুলে যাবে, কেউ বাড়ি ফিরবেন, কেউ হাসপাতালে যাবেন... তাঁরা তো সমস্যায় পড়বেন!’’
বাংলার ক্ষমতায় এসেই মমতা জানিয়েছিলেন, তিনি বন্ধের রাজনীতি চান না। অবরোধের রাজনীতি চান না। বুধবারও ছাত্রদের সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন। বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই সমর্থিত ছাত্র বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বাম জমানার বন্ধ সংস্কৃতির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। মমতা বলেছেন, ‘‘৩০ বছর ধরে এই কালচার দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আর বরদাস্ত করব না। এ কালচার বাংলা বহুদিন সহ্য করেছে। আর করবে না। অনেক হয়েছে।’’
একইসঙ্গে মমতা এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, ছাত্রনেতার মৃত্যু নিয়ে এই বিক্ষোভ বা আন্দোলন, তা নিয়ে তাঁর সরকার উদাসীন নয়। যথাযথ পদক্ষেপ করেছে। এমনকি তদন্তও হচ্ছে। মমতা বলেছেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। কিন্তু আগে দেখতে হবে সরকার পদক্ষেপ করছে কি না! সরকার যদি পদক্ষেপ না করে তবে বলতে পারেন। কিন্তু পদক্ষেপ করার পরও কেন এমন হচ্ছে। এটা কিসের চেষ্টা? কার স্বার্থ আছে এতে!’’
নবান্ন থেকেই মমতা বলেছেন,‘‘আন্দোলন সবাই করতে পারে, সে অধিকার সবার আছে! কিন্তু বাংলাকে কামড়াতে আঁচড়াতে দেব না’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy