ডুরিনা ক্রশিংয়ে মিনি বাস দুর্ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে পরিবহণ দফতর। নিজস্ব চিত্র।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে মিনি বাস উল্টে যাওয়ার ঘটনার পর ফিটনেস সার্টিফিকেট (সিএফ) ছাড়া যে-সব বাস চলছে, তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পরিবহণ দফতর। ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া রাস্তায় নামা বাস, মিনিবাস চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৭৯টি বাস চিহ্নিত করা গিয়েছে। জরিমানা করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বাসগুলির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য পরিবহণ দফতর কাছে সুপারিশ পাঠানো শুরু করেছে ট্রাফিক বিভাগ। তালিকা ধরে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নম্বরের ৭৯টি গাড়ি চিহ্নিত করা গিয়েছে। কাগজপত্র পরীক্ষা করতে দেখা যায়, ৭৯টি বাস-মিনিবাসই আনফিট অর্থাৎ রাস্তায় যাত্রী পরিবহণে অযোগ্য। তাদের মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা না মেটালে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই তল্লাশি অভিযান লাগাতার চলবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে আনফিট বাস, মিনিবাসের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে পরিবহণ দফতর।
প্রসঙ্গত, রবিবার ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে উল্টে যায় বাঁকড়া-পার্ক সার্কাস রুটের মিনিবাস। যাত্রীরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, বাসটির সমস্ত নথির মেয়াদ অনেক দিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। মিনিবাসটির মেকানিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মিনিবাসটির স্টিয়ারিংয়ে সমস্যা ছিল। ফলে অনেক আগেই মিনিবাসটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল হাওড়া আরটিও। এমন তথ্য হাতে পাওয়ার পরেই পরিবহণ ও ট্রাফিক দফতর পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, এমন পরিস্থিতিতে কোন কোন বাসের সিএফ হয়নি সেই তালিকাও পরিবহণ দফতর মারফৎ কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক দফতরের হাতে পৌঁছেছে। তথ্য অনুযায়ী এর মধ্যে কলকাতা আরটিও-র বাসের পাশাপাশি জেলার আরটিও থেকে রেজিস্ট্রেশন হওয়া বাস ও মিনিবাস আছে। সিএফ ছাড়াও অন্য সমস্ত নথিরও মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে। ঠিকঠাক ধরপাকড় শুরু হলে এই সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই মত পরিবহণ দফতরের এক কর্তার। ট্রাফিক দফতর সূত্রের খবর, সমস্ত ট্রাফিক গার্ডের কাছে এই তালিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে, বিধি ভেঙে চলা গাড়িগুলির জন্য জরিমানা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দফতরের আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া যে সব বাস চলছে, সেগুলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এই সমস্ত গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটালে আহতরা এবং নিহতের পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণই পাবেন না। এর সঙ্গেই ট্রাফিক অফিসারদের নজরে এসেছে, বেশিরভাগ বাস মিনিবাসেই রেজিস্ট্রেশনের নথি থাকছে না। তার সঙ্গে অন্য নথিও রাখা হচ্ছে না। হাতেগোনা যে কয়েকটি বাসে পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলি আবার আসল কপির প্রতিলিপি। তাই এ বার বাস-মিনিবাসে রেজিস্ট্রেশনের কাগজ রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy