Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
West Bengal Assembly Election 2021

ভোট নিয়ে শাহের বৈঠক হবে দিলীপ-মুকুলের সঙ্গে

বিজেপি সূত্রের মতে, দল মনে করছে, রাহুলবাবুর ক্ষোভের বিষয়ে এখনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।

আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। ছবি সংগৃহীত।

আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০০
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় এবং রাজ্যের আরও কয়েক জন নেতা। শাহ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে থাকবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশ। থাকার কথা বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডারও। এখনও সেই বৈঠকে ডাক পাননি রাহুল সিংহ। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী থেকে সদ্য বাদ পড়া রাহুলবাবুর ক্ষোভ মেটাতে মেননেরা উদ্যোগী হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না।

গত শনিবার দলের কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। তাতে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে বাদ পড়ে ক্ষোভে রাহুলবাবু পূর্ব নির্ধারিত সমস্ত দলীয় কর্মসূচি বাতিল করেন। বিজেপির একটি সূত্রের মতে, রাহুলবাবুর ক্ষোভ মেটানোর দায়িত্ব রাজ্য দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস ও সহ পর্যবেক্ষক মেননের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। গত শনিবার রাহুলবাবুর ক্ষোভ নিয়ে মেনন বলেছিলেন, ‘‘আমি রাহুলদার সঙ্গে কথা বলব।’’ দলের একটি সূত্রের দাবি, মেনন রাহুলবাবুকে ফোন করেছিলেন এবং দেখা করার প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুলবাবু রাজি হননি। ওই সূ্ত্রের আরও দাবি, কৈলাসও রাহুলবাবুকে ফোন করলেও দু’জনের কথা হয়নি। মেনন এবং কৈলাসের সঙ্গে কি তাঁর ফোনে বা সাক্ষাতে কথা হয়েছে? রাহুলবাবুর জবাব, ‘‘আমাকে ওঁরা কেউ ফোন করেছিলেন কি না, সে বিষয়ে এখন কিছুই বলব না।’’ মেনন বলেন, ‘‘রাহুলদার সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা হয়। এর মধ্যেও কথা হয়েছে। উনি আমাদের সক্রিয় নেতা। মুকুল রায় ওঁকে বিজেপির মুখ বলেছেন। আমি রাহুলবাবুর ক্ষোভের আঁচ পাইনি।’’

বিজেপি সূত্রের মতে, দল মনে করছে, রাহুলবাবুর ক্ষোভের বিষয়ে এখনই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। দলের বক্তব্য, সকলকে পদ দেওয়া অসম্ভব। বিহার ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে, তাই রাজ্য রাজনীতির স্থানীয় বিষয়কে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় নেতারা।

আরও পড়ুন: রাজ্যে কোন দায়িত্বে মুকুল রায়, রাজ্য রাজনীতিতে চলছে চর্চা

অক্টোবর থেকে বিহারের নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছেন শাহ-নড্ডারা। তার পর শাহের নিশানা পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘আগামী এক মাস মূলত বিহার নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন শাহেরা। এই পরিস্থিতিতে আগামী এক মাস রাজ্যে দিলীপ-মুকুলেরা কী ভাবে এগোবেন, তা ঠিক করতেই বৈঠকে বসছেন শাহ।’’ সূত্রের মতে, বঙ্গে দিলীপবাবু ও মুকুলবাবুর শিবিরের রেষারেষি সরিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার উপরে জোর দিতে চান শাহ। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভার বিস্তার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক শিবিরে। সূত্রের মতে, বাংলার ভোটের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক জন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী- শাহেরা।

আরও পড়ুন: হাজরা? কে হাজরা? দিল্লি থেকে কলকাতা, জবাব খুঁজছে গোটা পরিবার

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy