অমল আচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের অপসারণের দাবি জানালেন দলেরই জেলা নেতা ও বিধায়কদের একাংশ। তাঁদের দাবি, অমলবাবু দলের নির্দেশ মানছেন না।
বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর কাছে তাঁরা অমলবাবুকে অপসারণের দাবি জানান। দলীয় নির্দেশ না মেনে অমলবাবু জেলায় দলের বিভিন্ন ব্লক ও শহর কমিটি ভেঙেছেন বলে তাঁদের অভিযোগ। তৃণমূলের অন্দরের খবর, শুভেন্দুবাবু বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাবেন বলে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। তবে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আমি দলের যাবতীয় শৃঙ্খলা মেনে চলি। দলের অভ্যন্তরের কথা আমি কিছু
বলব না।’’
অমলবাবুর দাবি, পছন্দের জেলা সভাপতি পাওয়ার আশায় তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ‘‘অভিযোগকারীরা দীর্ঘ দিন থেকেই দলে অন্তর্ঘাত ও গোপনে বিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত চালাচ্ছে। তাই পঞ্চায়েত, পুরসভা, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা অনেকে হেরেছেন।’’
দল সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে শুভেন্দুবাবুর কাছে লিখিতভাবে অমলবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান ইসলামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী, চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান, গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক গোলাম রব্বানি, জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভাপতি তিলক চৌধুরী ও দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন বৈঠক ডাকেন শুভেন্দুবাবু। ওই বৈঠকে অমলবাবু সহ অভিযোগকারী সব নেতা ছাড়াও হেমতাবাদের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী সবিতা ক্ষেত্রী ও করণদিঘির তৃণমূল বিধায়ক মনোদেব সিংহও হাজির ছিলেন।
প্রায় দু’মাস আগে অমলবাবু জেলার নয়টি ব্লক ও শহর কমিটি ভেঙে দেন। বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সম্প্রতি, জেলার একাধিক ব্লক ও শহর কমিটির নতুন সভাপতিও নিয়োগ করেছেন অমলবাবু। এ দিন শুভেন্দুবাবু নতুন করে আর কোনও কমিটি না ভাঙার নির্দেশ দেন অমলবাবুকে। সেই সঙ্গে, জেলার নয়টি ব্লক ও চারটি শহর কমিটিতে আগে যাঁরা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তাঁরাই, আপাতত সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দুবাবু। সবিতাদেবীকে হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী একাধিক নেতার দাবি, গত ১৮ জুন কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সভায় দলের কোনও কমিটি ভাঙা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমলবাবু সেই নির্দেশ অমান্য করে একাধিক কমিটি ভেঙেছেন। তাঁরা বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবুর কাছে সেই অভিযোগ জানিয়ে আমরা তাঁর অপসারণ চেয়েছি।’’
অমলবাবুর দাবি, ‘‘দলের জেলা কমিটিতে বৈঠক করে সবার মতামত নিয়েই সব কমিটি ভাঙা হয়েছিল। তা ছাড়া, আমি জেলা সভাপতি হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে জেলায় দল শক্তিশালী হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনেও জেলায় চারটি আসন দখল করেছে দল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy