যে সিকিমে এক সময়ে বিমল গুরুঙ্গ লুকিয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিঙের সঙ্গে বৈঠক করলেন জিটিএ-র কেয়ারটেকার চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গ। যাওয়ার পথে কয়েক জন কালো পতাকা দেখালেও গ্যাংটকে পৌঁছে সমাদর পেলেন বিনয়। বৈঠকের পরে জানান, দার্জিলিঙে অপরাধ করে কেউ যাতে এসে সিকিমে আশ্রয় না পায়, সে জন্য চামলিংকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
চামলিং এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে তিনি জানান, শান্তি উন্নয়নের প্রশ্নে তাঁরা দার্জিলিঙের পাশেই থাকবেন। শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চামলিঙের বৈঠক হয়। সেখানেই তিনি জানান, ভুল বোঝাবুঝি এখন অতীত। দুই পাহাড়ের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কাজ করবেন তাঁরা। বৈঠকেও একই সুর ছিল। বিনয় বলেন, ‘‘প্রথম বৈঠক ভাল হয়েছে। ফের আলোচনা হবে। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে দার্জিলিঙে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। উনি আসবেন।’’
ঘটনাচক্রে এ দিন বৈঠকের আগেই সকালে বিনয় শিবিরে যোগ দেন আত্মগোপন করে থাকা নারী মোর্চার ডাকসাইটে গুরুঙ্গপন্থী নেত্রী বিনীতা রোকা। তিনি বলেন, ‘‘অনেক হয়েছে। এখন শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নে গতি আনার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চাই। বিনয়-অনীতদের সঙ্গেই পথ হাঁটব।’’
গোলমালের জন্য তিনি বিজেপিকে দায়ী করে বলেন, ওরা নানা ভাবে কিছু মোর্চা নেতাকে ভুল বুঝিয়েছে। গুরুঙ্গ পাহাড়ে ক্ষমতাসীন থাকার সময়ে নারী মোর্চার প্রথম সারির নেতা হিসেবে পরিচিত পান বিনীতা। জুন মাস থেকে পাহাড়ে যে বন্ধ-আন্দোলন চলে, তাতেও নানা সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। বিনীতা জানান, আইনের পথেই সব মামলার মোকাবিলা করবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy