মদন মিত্র ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর পর বিধানসভায় প্রত্যাবর্তন হলেও, মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হল না মদন মিত্রর। রবিবার বিকেলে রাজভবন গিয়ে নতুন মন্ত্রিসভার তালিকা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় দেখা যায়, নাম নেই কামারহাটির সদ্য নির্বাচিত বিধায়কের।
২০০৯ সালের বিষ্ণুপুর পশ্চিম (ডিলিমিটেশনের কারণে লুপ্ত) বিধানসভার উপনির্বাচনে জিতে প্রথমবার বিধায়ক হন মদন। কিন্তু ২০১১ সালেই তাঁকে প্রার্থী করা হয় প্রভাবশালী সিপিএম নেতা কামারহাটির বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়ে জিতলে তিনি পান স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। ক্রীড়া দফতর নিয়ে মন্ত্রিসভায় কাজ শুরু করেন তিনি।
ভবানীপুরের বিধায়ক সুব্রত বক্সী বিধায়কপদ ছেড়ে দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ হলে, পূর্ত ও পরিবহণ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ক্রীড়ার সঙ্গেই পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব পান মদন। কিন্তু ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। গ্রেফতার হওয়ার আগেই মন্ত্রীপদ থেকেই ইস্তফাও দেন। ২০১৬ সালে কারাবন্দী মদনকে কামারহাটিতে প্রার্থী করেন মমতা। কিন্তু সেই লড়াইয়ে পরাজিত হন তিনি। ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তিপান। ২০১৯ সালে ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে দলত্যাগী অর্জুন সিংহের পুত্র পবন সিংহের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে ফের পরাজিত হন। ২০২১ সালে আবারও কামারহাটিতেই তৃণমূল প্রার্থী করা হয় রঙিন মেজাজের এই নেতাকে।
বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৩৫,৪০৮ ভোটে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন মদন। তারপর থেকেই তাঁর অনুগামীদের আশা ছিল, ‘মদনদাকে মন্ত্রী করবেন দিদি।’ কিন্তু সোমবার দেখা গেল, মন্ত্রীদের তালিকায় নাম নেই প্রভাবশালী এই রাজনীতিকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy