সরশুনার আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা দেবশ্রী রায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
অভিযোগ ছিল আবাসনে ঢুকিয়ে একাধিক কুকুরকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার। যে খবর কানে পৌঁছনো মাত্রই বিধায়ক দেবশ্রী রায় তাঁর সংস্থার কয়েকজনকে নিয়ে হাজির হন সেই আবাসনে। আর এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল। গন্ডগোল এতটাই বেড়ে যায় যে, বিধায়ক এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাতে বেশ কিছু ক্ষণ বীরেন রায় রোড অবরোধ করেন আবাসনের বাসিন্দারা। যদিও দেবশ্রীর দাবি, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। উল্টে বাসিন্দারাই নাকি তাঁদের লক্ষ্য করে কুমন্তব্য করেন।
ঠিক কী হয়েছিল?
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। বেহালা সরশুনার একটি আবাসনের মধ্যে কয়েকটি কুকুরকে বিষ দিয়ে মারা হয়েছে বলে এলাকারই কয়েক জন যুবক দেবশ্রী রায়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফোন করে খবর দেন। পরের দিন বিধায়ক তাঁর সংস্থার কয়েক জনকে নিয়ে থানার স্মারকলিপি জমা দেন। সেখান থেকে আবাসনে গিয়ে হাজির হন। জানতে চান, কেন তাঁরা নিরীহ কুকুরদের বিষ দিয়ে হত্যা করেছেন। এর পরেই শুরু হয় গন্ডগোল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আবাসনের বাসিন্দাদের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়, দেবশ্রী রায় এবং তাঁর দলবল তাঁদেরকে মারধর করেন। আবাসনের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করেন। এমনকী এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বীরেন রায় রোড অবরোধ করেন বাসিন্দারা। আবাসিকদের বক্তব্য, সেখানে কুকুর মারার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। জোর করে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা চলেছে। আর তাতে প্রশ্রয় দিচ্ছেন পশুপ্রেমী ওই বিধায়ক।
বুধবার বিষয়টি নিয়ে থানায় দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy