বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
দু’টি মামলা তাঁর এজলাস থেকে সরাল সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর দেওয়া দু’টি নির্দেশে স্থগিতাদেশও জারি করল একই দিনে। এর পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনে হচ্ছে, ধীরে ধীরে সব মামলাই সরিয়ে নেওয়া হবে তাঁর হাত থেকে। শুক্রবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের শেষ আদেশ শোনার পর কলকাতা হাই কোর্ট ছেড়ে বাইরে এসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আমার কাছে স্পষ্ট নয়। পড়ে দেখব। আমার ধারণা, এর পর আমার এজলাস থেকে সব মামলাই সরিয়ে নেওয়া হবে।’’
রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে হাই কোর্ট চত্বর ছেড়ে বাইরে আসেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের অপেক্ষারত প্রতিনিধিরা নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন তাঁকে। এর মধ্যেই একজনের জিজ্ঞাসা ছিল, ‘‘নিয়োগের কোনও মামলাই কি আর আপনার এজলাসে থাকছে না?’’ জবাবে বিচারপতি ওই জবাব দেন। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনে চলাই আমার কাজ। আমরা হাই কোর্টের বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্ট যা বলবে আমরা তা-ই করব।’’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য আরও অনেক কথাই বলেছেন বিচারপতি। এক সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘ আপনি বলেছিলেন ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল। সত্যিই কি মিলে গেল?’’ দুপুরে নিজের এজলাসে অল্প সময়ের জন্য বসে ভবিষ্যদ্বাণী সংক্রান্ত মন্তব্যটি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সম্পর্কে করেছিলেন বিচারপতি। বলেছিলেন, ‘‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। উনি যে এত ভাল ভবিষ্যদ্রষ্টা, তা জানা ছিল না।’’ রাতে অবশ্য কুণালের নাম না করেই বিচারপতি বলেন, ‘‘মিলে গেল তো! ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল কী করে তা ভেবে আমি সত্যিই আশ্চর্য। আবার বলতে পারি, আশ্চর্য নইও।’’
বিচারপতি অবশ্য একই সঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার লোক নন। বলেছেন, ‘‘যত দিন বিচারপতি থাকব, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ব। যখন থাকব না, যখন অন্য কাজ করব, তখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ব।’’
কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর চলে যাওয়া কি তদন্তকে প্রভাবিত করবে? বিচারপতি জবাব দেন, ‘‘প্রত্যেকের বিচারের করার স্টাইল আলাদা। আমি যা ৬ মাসে করতে চেয়েছিলাম, সেটা কেউ ৬০ বছর ধরে করবে। তাতে আমারও কিছু বলার নেই। সুপ্রিম কোর্টেরও কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy