বিধানসভায় ক্ষিতিবাবুর মরদেহে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যপাল এলেন আরএসপি-র রাজ্য দফতরে। মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানালেন বিধানসভায়। বিজেপি ছাড়া সব দলের প্রতিনিধিদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পরে বহু মানুষের চোখের জলেই বিদায় নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং আরএসপি-র সাধারণ সম্পাদক ক্ষিতি গোস্বামী। শোকমিছিল করে তাঁর দেহ পৌঁছে দেওয়া হল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি মঙ্গলবারই কলকাতায় জরুরি বৈঠকে বসে প্রাক্তন সাংসদ মনোজ ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে।
‘পিস ওয়ার্ল্ড’ থেকে বার করে এ দিন সকালে ক্ষিতিবাবুর দেহ প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীকলোনির বাড়িতে। সেখান থেকে ঢাকুরিয়া সুইমিং পুল ঘুরে লেনিন সরণিতে আরএসপি দফতরে মরদেহ রাখা হলে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আরএসপি-র নেতা হিসেবে বহু দশক নির্ভীক ভাবে ক্ষিতিবাবু জনস্বার্থে কাজ করেছেন। রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবেও তাঁর অবদান বিপুল। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মতো বিষয়েও তিনি স্বাধীন ও নির্ভীক মত প্রকাশে দ্বিধা করেননি।’’ আরএসপি দফতরে রাখা ভিজিটর্স বুক-এও মন্তব্য লিখেছেন রাজ্যপাল। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আরএসপি দফতরে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, তাঁরা এক জন মিতবাক, ভদ্র ‘রাজনৈতিক যোদ্ধা’কে হারালেন। অমিতাভ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এসেও ক্ষিতিবাবুদের সঙ্গে আদানপ্রদানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের দেওয়াল না হয়ে ওঠার কথা বলেন।
বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের সঙ্গে এসেছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর প্রায় সব সদস্য। বহু বছর একসঙ্গে চলার স্মৃতি মনে করে সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ নস্কর, প্রাক্তন বিধায়ক তপন হোড়েরা। বিধানসভায় ক্ষিতিবাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান প্রমুখ। তার পরে ফের আরএসপি-র দফতর ঘুরে শোকমিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy