—প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ, মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির তরফে সঙ্কল্পপত্র প্রকাশ হতে চলেছে। সেই উপলক্ষে বিধাননগরে দলের নয়া সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সঙ্গে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অগ্নিমিত্রা পাল। ‘দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত’ স্লোগানকে সামনে রেখেই সঙ্কল্পপত্র তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি। শীর্ষ নেতারা পরস্পরের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। তৃণমূল তা নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে নিচু তলার কর্মীদের মনোবল বাড়াতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশাপাশি বসে ঐক্যবদ্ধ ছবি উপহার দিতে চলেছেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের ধারণা। দিলীপের কথায়, “দল যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের কথা বলেছে। পঞ্চায়েতের বিষয়েই কথা হবে। দলের সবাই একসঙ্গে লড়ছেন। সেই নিয়ে রাজ্য সভাপতি বার্তা দেবেন। বাকি নেতারাও সঙ্গে থাকবেন।”
সূত্রের খবর, সঙ্কল্পপত্র প্রকাশের পাশাপাশি বেশ কিছু কর্মসূচিও ঘোষণা করা হতে পারে। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ২২ জেলায় ২২টি বড় পদযাত্রা ও সমাবেশ করতে চলেছে দল। আগামী ২৮ জুন থেকে সেই কর্মসূচি শুরু হতে পারে। চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত। দলের তিন শীর্ষ নেতা ছাড়াও কোর কমিটির সদস্য রাহুল সিংহ, রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যদের এক একটি জায়গায় পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। অবশ্য ইতিমধ্যে শুভেন্দু, সুকান্ত, দিলীপেরা একাধিক জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের কর্মসূচি করে ফেলেছেন।
ভোপাল থেকে আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘আমার বুথ, শক্তিশালী বুথ’ কর্মসূচিতে বক্তৃতা করার কথা। সারা দেশের ১০ লক্ষ বুথে সেই কর্মসূচি সম্প্রচারিত হবে। এর মধ্যে বাংলার ২৫ হাজার বুথে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা। রাজ্য বিজেপির তরফে এই কর্মসূচির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রথীন বসু বলেন, “যে সব বুথে প্রার্থী আছে, আমরা সেই সব বুথেই কর্মসূচি করার চেষ্টা করব।” যেখানে বুথ স্তরে কর্মসূচি করা সম্ভব হবে না, সেখানে মণ্ডল এবং জেলা স্তরে কর্মসূচি হবে। সূত্রের খবর, বিধায়ক ও সাংসদদের কর্মসূচির সময়ে নিজের বুথে থাকতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy