কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বিতর্কে জড়ানো চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সেখানে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান একদল পড়ুয়া। বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ এবং স্লোগান শুরু হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে বেরিয়ে যান বিরূপাক্ষ।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, প্রথম বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়াদের একাংশ বিরূপাক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে তৃতীয় বর্ষের কিছু পড়ুয়াও ছিলেন। তবে কী কারণে এই বিক্ষোভ, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনা নিয়ে বিরূপাক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার ডট কম। তিনি জানান, এক অসুস্থ আত্মীয়কে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন ডাক্তার দেখাতে। সেই সময়েই একদল পড়ুয়া তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। বিরূপাক্ষ জানান, এই নিয়ে বৌবাজার থানায় অভিযোগও জানাবেন তিনি। বস্তুত, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ ঘিরে অভিযোগ উঠেছিল। সেই বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বিরূপাক্ষের। বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটিই হল হুমকি সংস্কৃতি। গুন্ডামি, মস্তানি করা হয়েছে। সভ্য ভদ্র সমাজে এমন কেউ করতে পারে বলে আমার জানা নেই। এটা অসভ্যতা।”
আরও পড়ুন:
আরজি কর আন্দোলনের সময়ে চিকিৎসকদের ‘উত্তরবঙ্গ সিন্ডিকেট’ ঘিরে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ‘হুমকি সংস্কৃতি’ ঘিরে বিতর্কের আবহে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকেও বাদ পড়েছিলেন তিনি। পরে আবার তাঁকে ফেরানো হয় মেডিক্যাল কাউন্সিলে। এই বিতর্কের মাঝে বৃহস্পতিবার ফের মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিরূপাক্ষ। এ বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া মহসিন রেজ়ার বক্তব্য, “বিরূপাক্ষ ‘হুমকি সংস্কৃতি’র মাথা ছিলেন। তাঁর নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তা নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। এমন তো নয় যে সবাই সব কিছু ভুলে যায়! ওই লোকটি সব সময় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ।”
মহসিনের দাবি, বিরূপাক্ষের কাছে তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন তিনি কেন মেডিক্যালে এসেছেন। তখন বিরূপাক্ষ তাঁদের জানিয়েছিলেন, রোগীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছেন। কিন্তু কোথায় রোগী, তা বিরূপাক্ষ দেখাতে পারেননি বলে দাবি বিক্ষোভকারী পড়ুয়া মহসিনের। কলকাতা মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, বৃহস্পতিবার স্নাতকোত্তর এবং পোস্ট ডক্টরেট স্তরের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের একটি সম্মেলন চলছিল। সেখানে বিরূপাক্ষকে দেখা গিয়েছিল। ওই সময়ে পড়ুয়ারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়েছিল বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।