প্রতীকী ছবি।
দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন, ঠিকাদারদের জায়গা হবে না তৃণমূলে। কোচবিহারে অবশ্য ঠিকাদারিতে যুক্ত চার-পাঁচ জনকে ব্লক কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিযোগে পদত্যাগ করে বসেছেন কয়েক জন। তাঁদের অভিযোগ, শাখা সংগঠন থেকে ব্লক কমিটিতে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের পরিবারের সদস্যেরা ঠিকাদারি করেন। বেনামে যে সব নেতা ঠিকাদারি করেন, তাঁদের নামও ব্লক কমিটিতে রয়েছে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক অবশ্য বলেন, ‘‘আমার কাছে এখনও এ রকম অভিযোগ পৌঁছয়নি। অভিযোগ পেলে, অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’’
সব থেকে বেশি অভিযোগ উঠেছে দিনহাটা মহকুমায়। সিতাই বিধানসভার অংশ দিনহাটা ১ (এ) ব্লকের সভাপতি সুধাংশু রায় ও সহ-সভাপতি মিঠুন চক্রবর্তী ঠিকাদারির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। দলের একাংশের দাবি, মিঠুন ঠিকাদার হিসাবে সড়ক, সেতুর কাজ করেন। সুধাংশু ‘অন্যের নামে’ একই কাজ করেন। এই কারণ দেখিয়ে ওই ব্লকে দলের এবং যুব সংগঠনের পাঁচ জন পদাধিকারী পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের অন্যতম গিতালদহ ১ অঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি আবু আল আজাদের দাবি, ‘‘অভিষেকের বার্তার কোনও পরোয়া এখানে করা হয়নি। ঠিকাদারিতে জড়িত একাধিক জনকে ব্লকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা দলের জেলা নেতৃত্বকে সে কথা জানিয়েছি। কাজ হয়নি। তাই দলীয় পদ ছেড়েছি।’’
মিঠুন বলেন, ‘‘দলকে ব্লকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা পালনের চেষ্টা করব। যদি দলের রাজ্য নেতৃত্ব মনে করেন, আমাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিলে ভাল হবে, তা হলে আমি সরে যেতে প্রস্তুত।’’ সুধাংশু অবশ্য বলেন, ‘‘কোনও ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত নই। যাঁরা বলেছেন, তাঁরা না জেনেই অসত্য অভিযোগ এনেছেন।’’
তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের সহ-সভাপতি মোজাফফর হোসেনও ঠিকাদার হিসাবে পূর্ত দফতরের কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেকের কথাটা শুনেছি। দল যদি নির্দেশ দেয়, ঠিকাদারি করা যাবে না, তা হলে করব না।’’
তৃণমূলের এই পরিস্থিতি জেনে বিঁধেছেন বিরোধীরা। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসুর টিপ্পনী, ‘‘অভিষেকের কথাটা বলার জন্য বলা। ঠিকাদারদের ছাড়া, চলবে না তৃণমূলের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy