অনুব্রতের বাড়ির সামনে বৃদ্ধ। নিজস্ব চিত্র।
দিন পাঁচেক আগেও বোলপুরের নিচুপট্টির নীল রঙের পাকার বাড়িটার সামনে লোকজনের ভিড় লেগে থাকত। সব সময় হইচই ভাব। বৃহস্পতিবারের পর সেই বাড়িকে যেন গ্রাস করেছে নিস্তব্ধতা। তার পর থেকে কেমন একটা থমথমে ভাব। বাড়িটি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। শনিবার বেলার দিকে হঠাৎই সেই নিস্তব্ধ বাড়ির দিকে এগিয়ে এলেন এক বৃদ্ধ। হাতে ছোট্ট চিরকুট। অনুব্রতের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর কাছে আবেদন, চিঠিটি যেন অনুব্রতের কন্যা সুকন্যার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বৃদ্ধের নাম শেখ নওশাদ আলি। তাঁর মতে, গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে অনুব্রতের গ্রেফতারির পর দূরত্ব বাড়িয়েছে কাছের মানুষেরা। আসলে দুঃসময়েই তো কাছের মানুষকে চেনা যায়। এমনটাই মনে করেন ওই বৃদ্ধ। তাই রোদে ঘেমেনেয়ে শনিবার দুপুরে লাভপুর থেকে তিনি ছুটে এসেছিলেন অনুব্রতের বাড়ি। বাড়িমালিকের অনুপস্থিতিতে কারও সঙ্গে দেখা করারও বাসনা নেই। শুধু নেতার মেয়েকে জানাতে এসেছেন, এই দুঃসময়ে সুকন্যা একা নন। পাশে আছেন তাঁরা। নওশাদের চিঠিতে লেখা, ‘ভালবাসা নেবে। আমরা তোমার বাবার ব্যাপারে কথা বলব এমপি আবু তাহের খানের সঙ্গে। ফোন নম্বর দিলাম। দরকার হলে ফোন কোরো।’
তাঁর পরিচয় কী? কী করেন? সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় ফেজটুপি দেওয়া বৃদ্ধের উত্তর, ‘‘দীর্ঘ দিন পার্টি করতাম। আবু খান সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করেছি অনুব্রতবাবুর গ্রেফতারি নিয়ে। তাই এলাম ওর বাড়িতে।’’ অনুব্রত এবং তিনি একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন বলে দাবি বৃদ্ধের। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস করতাম আমরা। আমি ব্লক সভাপতি ছিলাম। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। তার পর অনুব্রত তৃণমূলে চলে গেলেন।’’
পরে তিনিও কংগ্রেসে ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বলে জানান শেখ নওশাদ। তাঁর কথায়, ‘‘ওঁর গ্রেফতারির পর কষ্ট হচ্ছে। সেই জন্য ওঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে এলাম। নেতার ভাল সময়ে ছিলাম। অসময়ে দূরে যাব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy