Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

‘বালি, মাটি পাচার নিয়ে আমি বলতে পারব না’

পাঁচ বছরের কাজ, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বিদায়ী জেলা সভাধিপতিরা। আজ উঃ ২৪ পরগনার বীণা মণ্ডল

Bina Mondal

বীণা মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২৩ ০৬:০৮
Share: Save:

প্রশ্ন:জেলা পরিষদ পাঁচ বছরে কী কী কাজ করল?

উত্তর:করোনা পরিস্থিতিতে দু’বছর কাজ করতে পারিনি। সরকারি প্রকল্প রূপায়ণের জন্য তিন বছর হাতে সময় পেয়েছিলাম। রাস্তাশ্রী-পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তা হয়েছে। গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের (আরআইডিএফ) টাকায় প্রতিটি ব্লকে রাস্তা হচ্ছে। অনেক সেতু হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা, হাইমাস্ট আলো বসিয়েছি।

প্রশ্ন: জেলার বড় সমস্যা পানীয় জলে উচ্চমাত্রায় আর্সেনিক। ২২টি ব্লকই কমবেশি আর্সেনিকপ্রবণ। কী পদক্ষেপ?

উত্তর: প্রচুর গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। জল জীবন মিশন বা জলস্বপ্ন প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।

প্রশ্ন: জেলার অনেক মানুষ ভিন্‌ রাজ্যে বা বিদেশে কাজ করতে যান। স্থানীয় ভাবে তাঁদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান?

উত্তর: জেলার গ্রামীণ এলাকার মানুষ একশো দিনের কাজের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কেন্দ্র ওই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। পরিযায়ীদের বিভিন্ন কাজে, বিশেষ করে রাস্তার কাজে তাঁদের যুক্ত করা চেষ্টা করব।

প্রশ্ন: জেলায় প্রচুর নদী, খাল-বিল সংস্কারে অভাবে মৃতপ্রায়। নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। সংস্কারের কী পরিকল্পনা?

উত্তর: সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাড়োয়া, বসিরহাট-সহ আমাদের জেলায় পাঁচটি ‘রিভার ব্লক’ আছে। নদী সংস্কারের বিষয়ে সেচ দফতর এবং বিদ্যাধরী ড্রেনেজ ডিভিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

প্রশ্ন: গোবরডাঙায় জেলা পরিষদ পরিচালিত হাসপাতাল বন্ধ। অনেকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত।

উত্তর: হাসপাতালটির দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছি। জেলা পরিষদের পক্ষে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালানোর পরিকাঠামো নেই।

প্রশ্ন: আবাস যোজনায় আপনার দলের নেতানেত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় কী বলবেন?

উত্তর: আবাস যোজনায় কারা পাকা বাড়ি পাবেন, তা জেলা পরিষদ ঠিক করে না। ব্লক প্রশাসন তদন্ত করে ঠিক করে। পঞ্চায়েত স্তরে প্রাপকদের নামের তালিকা ঠিক করা হয়। এর সঙ্গে নেতানেত্রীদের যোগ থাকে না।

প্রশ্ন: ‘দিদির দূত’ হয়ে যাওয়া নেতানেত্রীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল কেন?

উত্তর: ‘দিদির দূত’ হয়ে আমি যে সব এলাকায় গিয়েছি, ক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয়নি। মানুষ মূলত, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা না-পাওয়ায় ক্ষুব্ধ। কিছু রাস্তার সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। রাস্তাগুলির অনুমোদন হয়ে গিয়েছে।

প্রশ্ন: গত পাঁচ বছরে সব টাকা খরচ করতে পেরেছেন?

উত্তর: ৮০ শতাংশের বেশি টাকা খরচ করতে পেরেছি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা সামান্য কিছু খরচ করা বাকি।

প্রশ্ন: জেলায় বালি মাটি পাচার বেড়েছে। বন্ধে কী পরিকল্পনা?

উত্তর: এ সব নিয়ে আমি বলতে পারব না। পুলিশ-প্রশাসন আছে।

সাক্ষাৎকার: সীমান্ত মৈত্র

অন্য বিষয়গুলি:

WB Panchayat Election 2023 North 24 Parganas TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy