রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির জয়ের রাস্তা মসৃণ হওয়ার ইঙ্গিত পেতেই আবারও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার তিন রাজ্যে জয়ের গন্ধ পেতেই দেশ জুড়ে উৎসব শুরু হয়েছে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। সেই আবহে বিজেপির জয় এবং বাংলার রাজনীতি নিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে প্রশ্ন করা হলে স্পিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আগামিকাল ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়কেরা বিধানসভাতে বিজয় মিছিল করবেন এবং বিধানসভার বাইরে মিষ্টি বিতরণ করবেন।’’ এমনিতেই বিধানসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড রয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাই বিধানসভার লবির বাইরে বিজেপি বিধায়কদের বিজয়োৎসবে শামিল হয়ে শাসকদল এবং স্পিকারকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারেন তিনি। এমনটাই মনে করছে বিধানসভার একটি সূত্র।
আরও পড়ুন:
গত মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে স্পিকার সাসপেন্ড করেছেন বিরোধী দলনেতাকে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার অম্বেডকর মূর্তির সামনে তৃণমূলের পাল্টা ধর্না দেন বিজেপি বিধায়কেরা। ওই দু’দিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের পরিষদীয় দল। প্রতিবাদ জানিয়ে তৃণমূলের পরিষদীয় দল স্পিকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভা চত্বরে প্রতিবাদ, মিছিল, বিক্ষোভ, ধর্নার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্পিকার। এই ধরনের কোনও কর্মসূচি গ্রহণের আগে তাঁর কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন মঞ্জুর হলে তবেই বিধানসভা চত্বরে কোনও কর্মসূচি করা যাবে।
তবে স্পিকারের এমন ঘোষণার পরে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, নির্দেশের কপি হাতে পাওয়ার পরেই এ বিষয়ে তিনি মন্তব্য করবেন। কিন্তু রবিবার তিন রাজ্যে বিজেপির বিরাট জয়ের পরে বিধানসভা চত্বর এবং তার বাইরের রাস্তায় বিজেপি বিধায়কদের জন্য কর্মসূচির ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাই মনে করা হচ্ছে, সোমবার বিধানসভা উত্তপ্ত হতে পারে স্পিকার-বিজেপির দ্বন্দ্বে। আবার সোমবারই বিধানসভায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় নিজের ঘরেই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন তিনি। তাই এমন একটি দিনে বিজেপির তিন রাজ্যে জয় নিয়ে বিধানসভায় বিজয় মিছিল করে বাংলার শাসকদলের উপর চাপ তৈরি করতে চাইবেন ‘সাসপেন্ড’ শুভেন্দু, এমনটাই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের।