অশোক ঘোষের জন্মদিনে হেমন্ত বসু ভবনে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।
বিধানচন্দ্র রায়ের পরে অশোক ঘোষ। পরপর দু’দিন দুই প্রয়াত নেতার স্মরণ-অনুষ্ঠান থেকে জোটের বার্তা আরও স্পষ্ট করার চেষ্টা করলেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। দু’পক্ষকে নিয়ে যৌথ কমিটি গড়ার বাতাবরণও আরও জোরালো হল। আগামী সপ্তাহেই ফের যৌথ কর্মসূচি নিয়ে রাস্তায় নামছে জোট শিবির।
দলের রেকর্ড সময়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অশোকবাবুর জন্মদিন এ বার ‘গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের ঐক্য দিবস’ হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। সেই উপলক্ষেই দলীয় অনুষ্ঠানে প্রদেশ কংগ্রেস ও রাজ্য বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার হেমন্ত বসু ভবনে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকারেরা। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর পাশাপাশি ছিলেন সব শরিক দলের নেতারা। ছিলেন ফ ব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাসও।
বিধান ভবনে আগের দিন বাম নেতারা যেমন বিধানচন্দ্রের কৃতিত্বের কথা বলেছিলেন, এ দিন সে ভাবেই কংগ্রেস নেতারা বামেদের লড়াইয়ের প্রশংসা করেন। সোমেনবাবু বলেন, ‘‘ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বামেরা বরাবর লড়াই করেছে। এখন কেন্দ্র ও রাজ্যে যারা শাসন করছে, তাদের হাতে এই দু’টো বিষয়ই বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে আমরা যৌথ ভাবেই পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যৌথ কর্মসূচি নিচ্ছি।’’ ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেন বিমানবাবুও।
তবে কয়েক দিন আগে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে যৌথ কর্মসূচি হলেও পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের নেপাল মাহাতোরা একক ভাবেই পথে নেমেছিলেন। নেপালবাবুরা জোট চাইছেন না বলে সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবর হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সোমেনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘নেপাল এমন কথা বলেছেন কি না, আমার জানা নেই। তবে উনি শুধু বিধায়ক নন, প্রদেশ কংগ্রেসের পদাধিকারীও। দিল্লিতে এআইসিসি এবং কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে বামেদের সঙ্গে নিয়ে চলার ব্যাপারে কথা হয়েছিল, তিনিও সেখানে ছিলেন।’’ বিমানবাবুও বলেন, কংগ্রেসের কারও ভিন্নমত থাকলে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy