রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছবি সৌজন্য টুইটার।
রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালিতে সাংসদ, বিধায়ক এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে একটি বৈঠকের কথা ছিল তাঁর। সময় মতো সেখানে হাজির হন রাজ্যপাল। কিন্তু যাঁদের নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল, সেই প্রশাসনিক আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের প্রায় কেউই বৈঠকে আসেননি। ফলে বৈঠক ভেস্তে যায়।
জেলা প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করে রাজ্যপাল ধনখড় বলেন, “এই বৈঠকের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনকে ১৭ অক্টোবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২১ অক্টোবর জেলাশাসক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত কোনও জনপ্রতিনিধিকে বৈঠকে ডাকতে পারবেন না।”
রাজ্যপাল আরও বলেন, “ওই চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে ২১-২৩ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। সমস্ত শীর্ষ আধিকারিক সেখানেই রয়েছেন। ফলে তাঁরা আসতে পারবেন না।” এর পরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমি কি রাজ্য সরকারের অধস্তন? কারও সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে? এটা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।” এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ সজনেখালিতেও একটি প্রশাসনিক বৈঠকের কথা রয়েছে রাজ্যপালের। কিন্তু সেখানেও যদি প্রশাসনিক কর্তারা হাজির না হন, সেটাও ভেস্তে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আমাকে মেরুদণ্ডহীন ভাবা ভুল হবে: রাজ্যপাল
আরও পড়ুন: ‘কোনও ভাগাভাগি করতে দেব না’, রাজ্যে এনআরসি হবে না’, বার্তা ‘পাহারাদার’ মমতার
এ দিকে, রাজ্য সরকারের এই ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এ প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যে ভারতের সংবিধান চলছে না। মমতার আইন চলছে।”
রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষিতে সোমবারই এক সাক্ষাত্কারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন, “এখানে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমাকে ভদ্রলোক ভাবলে আমি তাই-ই। কিন্তু কেউ যদি ভাবেন আমি মেরুদণ্ডহীন, নিরস্ত্র তা হলে ভুল হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy