—নিজস্ব চিত্র।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী মাঠ ঠিকাদারদের হাতে থেকে দখলমুক্ত করল চাঁচল মহকুমা প্রশাসন। মালদহ জেলার চাঁচলে ওই মাঠটি স্থানীয় সিদ্ধেশ্বরী ইনস্টিটিউশনের। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন প্রণববাবু। এ নিয়ে আনন্দবাজার ডট কম-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রবিবার চাঁচলের স্থানীয় প্রশাসন ওই মাঠ থেকে দখলদারি হঠাতে উদ্যোগী হন। চাঁচলের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য এবং মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল মাঠ খালি করার নির্দেশ দেন ঠিকাদার সংস্থাদের। সে সময় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসরারুল হকও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের প্রচেষ্টার ফল মিলেছে। মাঠটি বেদখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ায় খুশি সেখানে আসা খেলোয়াড় এবং প্রাতর্ভ্রমণকারীরা।
প্রসঙ্গত, ওই খেলার মাঠ কিছু দিন আগে প্রায় দখল করে নিয়েছিলেন স্থানীয় ঠিকাদারেরা। মাঠের এক দিকে জমা করা হচ্ছিল বালি-স্টোনচিপের মতো নির্মাণ সামগ্রী। এবং অন্য অংশের দখল নিয়ে তৈরি হয়েছে অটো-টোটো স্ট্যান্ড। স্কুলের তরফে বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি এতে অসুবিধায় পড়েছিলেনন প্রাতর্ভ্রমণে আসা স্থানীয়রাও। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষে সেই খবর প্রকাশিত হয় আনন্দবাজার ডট কম-এ। এর পর নড়েচড়ে বসে চাঁচল মহাকুমা প্রশাসন।
মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল অবিলম্বে মাঠ খালি করার জন্য চিঠি দিয়েছেন ঠিকাদারদের। শেষমেশ রবিবার মাঠ খালি করতে শুরু করেন ঠিকাদার সংস্থার লোকজন। পাশাপাশি, রবিবার নিজে মাঠ পরিদর্শনে যান চাঁচল মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল এবং চাচোল ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমীরণ ভট্টাচার্য। চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র রায়বাহাদুর এলাকায় শিক্ষার প্রসারের জন্য ১৮৮৮ সালের ১৬ অগস্ট গড়ে তোলেন এই স্কুল। মা সিদ্ধেশ্বরী দেবীর নামে স্কুলের নাম রাখেন। বর্তমানে স্কুলটি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ জানুয়ারি এই স্কুলের এক অনুষ্ঠানে আসেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই মাঠেই সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy