মুর্শিদাবাদের একটি পুরসভা পরিচালিত দু’টি প্রাথমিক স্কুলের দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হওয়ার ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলে এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করে তাঁকে চিঠি দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। বিভিন্ন অভিযোগে গত বছর মে মাসে ওই দুই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ওই পুরসভা। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গত বছর ডিসেম্বর থেকে তাঁদের বেতন চালু হয়েছে। অধীরের অভিযোগ, এই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ও ওই দুই শিক্ষিকা কংগ্রেস সমর্থক হওয়ায় ‘ঘৃণ্য, নোংরা রাজনীতি’ করছে পুরসভা।
শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করে মমতার কাছে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অধীর। মুখ্যমন্ত্রীকে শনিবার চিঠি লিখে অধীর অভিযোগ করেছেন, “আদালতের রায় শিক্ষিকাদের পক্ষে গিয়েছে। পুর-কর্তৃপক্ষ মানতে পারেননি, শিক্ষিকারা আদালতে যাওয়ার সাহস দেখাবেন। তাই কর্তৃপক্ষ জঘন্য ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তৈরি করেছেন।” যদিও সংশ্লিষ্ট পুরসভার পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পুরসভা ষড়যন্ত্র করেনি। অনেক কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক পুরসভার কর্মী। তাঁদের বিরুদ্ধে তো কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিভাবকেরা আগেও একই অভিযোগ পুরসভায় জানিয়েছিলেন। পদক্ষেপও করা হয়েছিল। এখন দুই অভিভাবক থানায় অভিযোগ করেছেন। তাই মামলা হয়েছে। অধীরবাবু আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)