ফাইল চিত্র।
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় অক্সিজেন ও টিকার বরাদ্দ বাড়ানোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দাবি জানিয়ে এ বার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় টিকা, অক্সিজেন, ওষুধ, বেড-সহ সব রকম সহায়তা দিয়ে রাজ্যের পাশে দাঁড়াক কেন্দ্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় বাজেটে ভ্যাকসিনের জন্য যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, সেই টাকা কোথায় গেল? দেশের এমন সঙ্কটের সময়ে সেন্ট্রাল ভিস্তার মতো বিলাসবহুল প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের আদৌ কি কোনও প্রয়োজন আছে? অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখন রাজনীতির সময় নয়। অতিমারির সঙ্কট মোকাবিলায় পর্যাপ্ত টিকা এবং অক্সিজেন পাঠিয়ে রাজ্যকে সাহায্য করা উচিত কেন্দ্রের। রাজ্যকে যাতে উদার হস্তে সাহায্য করা হয়, এক জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেই দাবি জানিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আরও মন্তব্য, ‘‘এই সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, দিল্লি থেকে কোভিড বাহিনী পাঠানো উচিত বাংলায়!’’
সাংসদ তহবিল আপাতত বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বহরমপুরের সাংসদ হিসেবে তাঁর তহবিলে থাকা টাকা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলায় মেডিক্যাল গ্যাস অক্সিজেন প্ল্যান্ট এবং দু’টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স কেনার প্রস্তাব দিয়ে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন অধীরবাবু। তাঁর ওই প্রস্তাব রূপায়ণে কত টাকা লাগতে পারে, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে তা জানতে চেয়েছে জেলাশাসকের দফতর। অধীরবাবুর বক্তব্য, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে তাঁর তহবিলের টাকার সদ্ব্যবহার করতে চান।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও শনিবার দাবি করেছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যকে সব রকম সহযোগিতা করা উচিত কেন্দ্রের। ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, অক্সিজেনের অভাবে মানুষের মৃত্যু গণহত্যার সমান। এই অতিমারি পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy