হঠাৎ খুচরো মুদ্রা তৈরি বন্ধের সিদ্ধান্তের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-কে দায়ী করছেন কলকাতার আলিপুর টাঁকশালের কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, আরবিআই যদি টাঁকশাল থেকে মুদ্রা তুলে নিয়ে যেত, তা হলে তাঁদের এই সমস্যায় পড়তে হত না। পরিকল্পনার অভাবে হঠাৎই দেশের চারটি টাঁকশালে মুদ্রা তৈরি বন্ধ করে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন তাঁরা।
আলিপুর টাঁকশাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সেখানে মুদ্রা তৈরি হয়নি। ১, ২, ৫ ও ১০ টাকার মুদ্রা ছাড়াও ভারতরত্ন, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণের মতো দেশের সব রকমের সরকারি পদক তৈরি হয় আলিপুর টাঁকশালেই। এ দিন সেই ধরনের কিছু পদক তৈরির কাজই হয়েছে। আইএনটিইউসি সমর্থিত ক্যালকাটা মিন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিজন দে জানান, কলকাতা-সহ দেশের সব টাঁকশালের নেতারা এ দিন দিল্লি গিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে। মুদ্রা তৈরির কাজ যাতে অবিলম্বে ফের শুরু হয়, মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে সেই দাবি জানানো হবে। তাঁর দাবি, চলতি অর্থবর্ষে (২০১৭-’১৮) আরবিআই সারা দেশে ৭৭১ কোটি মুদ্রা লাগবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু বছর শেষের আগে মুদ্রা তৈরি বন্ধ হয়ে গেল।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সিকিওরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার এক নির্দেশিকা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে দেশের চারটি টাঁকশালে ১, ২ ও ৫ টাকার মুদ্রা তৈরি আপাতত বন্ধ। কারণ টাঁকশালগুলিতে বিপুল পরিমাণে খুচরো মুদ্রা পড়ে রয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেগুলি নিয়ে যেতে পারেনি। মুদ্রার চাহিদা কমে যাওয়ায় আরবিআইয়ের পক্ষেও সব দিক সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানাচ্ছে ব্যাঙ্ক শিল্পমহল।
আলিপুর টাঁকশালের এক কর্তা জানান, এক দিকে বাজারে খুচরোর চাহিদা নেই, অন্য দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভল্টে আগের খুচরোও থেকে যেতে পারে। তাই ওরা নতুন মুদ্রা তুলছে না। পুরনো টাকাও ওদের ভল্টে থেকে যাওয়ায় সব দিক থেকেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেক কিছু বিষয়ে তাঁরাও অন্ধকারে রয়েছেন বলে জানাচ্ছেন ওই কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy