গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
যথা সময়েই ইডির দফতরে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। রুজিরার গাড়ি সিজিও চত্বরে পৌঁছে যায় ঠিক সকাল ১০টা বেজে ৫৭ মিনিটে। গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে ঢুকে যান রুজিরা।
নিয়োগ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সপ্তাহেই ইডির সমন পৌঁছেছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের স্ত্রীর কাছে। সেই সমনে সাড়া দিয়ে রুজিরা সিজিওতে আসবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। রুজিরার তরফে এ ব্যাপারে কিছু না জানানো হলেও, বুধবার সকাল থেকেই দেখা যায় সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে গাড়ি চলাচলও। পুলিশ সূত্রেই জানা গিয়েছিল রুজিরা সিজিওতে আসছেন। পরে খবর আসে, একটি সাদা ইনোভা গাড়ি সাড়ে দশটা নাগাদ রওনা হয়েছে অভিষেকের বাড়ি থেকে। যথাসময়ে, অর্থাৎ ১১টার মধ্যেই সেই গাড়ি পৌঁছেও যায় সিজিও চত্বরে।
নিয়োগ মামলার তদন্তে এই প্রথম তলব করা হল অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে। এর আগে তাঁকে ‘কয়লা পাচার মামলা’য় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এই প্রথম নিয়োগ মামলায় ডেকে পাঠানো হল।
চার মাস আগেই তাঁকে কয়লা পাচার মামলায় ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। দু’টি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান এবং এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে গত জুনের প্রথম দিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা। সেই পর্বে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রুজিরাকে।
তবে কয়লা পাচার মামলায় তারও আগে বেশ কয়েক বার অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এক বছর আগে ২০২২ সালের জুন মাসে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন রুজিরা। অতীতে রুজিরাকে দিল্লিতেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেবার অবশ্য রাজধানীতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরিবর্তে তিনি কলকাতার ইডির দফতরে যান।
ওই মামলাতেই রুজিরার বিদেশে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। রুজিরার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল লুক আউট নোটিস। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই নোটিস তুলে নিতে হয় ইডিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy