জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস। —ফাইল চিত্র।
মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হলেও দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই বলে দাবি অভিজিৎ দাসের। পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে ২০১৪ সালে তিনি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন বলে বুধবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, ‘‘১৯৯১ থেকে পূর্ব রেলের ক্যাটারিংয়ে চা ও কফি সরবরাহের বরাতের ব্যবসা করছি। এখনও পর্যন্ত ওই ব্যবসায় কোনও দুর্নীতির চিহ্ন নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’’
অভিজিতের দাবি, ২০১১ সালে তিনি জ্যোতিপ্রিয়ের আপ্ত সহায়কের কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পরে মনে হয়েছিল, ওই জায়গায় কাজ করা তাঁর পক্ষে সুবিধাজনক নয়। তাঁর দাবি, সেখানে (মন্ত্রীর কাছে) নানা ধরনের মানুষের আনাগোনা লেগে থাকত। তাতে তাঁর কাছে পরিবেশ কিছুটা অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল। তাই বেরিয়ে আসেন।
অভিজিতের বাড়ি থেকেই বাজেয়াপ্ত করা একটি মেরুন ডায়েরিতে নানা আর্থিক লেনদেনের হিসাবে রয়েছে বলে ইডির দাবি। ওই ডায়েরিতে একাধিক জায়গায় ‘বালুদা’-র নাম করেও আর্থিক লেনদেনের হিসাব রয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয়ের আর এক নাম বালু। তবে ওই ডায়েরির আর্থিক লেনদেনের বিষয় খোলসা করেননি অভিজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘আমি ডায়েরি লিখতাম। ওটা আমার কাছে রেখেছিলাম। তবে ওই ডায়েরির বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ঘটনার তদন্ত করছে ইডি।’’
গত সোমবার মুখ খুলেছিলেন অভিজিৎ। দাবি করেছিলেন, তিনি শুধু রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নানা ফাইল মন্ত্রীর টেবিলে পৌঁছে দিতেন। তাঁর স্ত্রী ও মা মন্ত্রীর নির্দেশে তিনটি সংস্থার ডিরেক্টর হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের অ্যাকাউন্টে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি। বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ের ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গে অভিজিৎ বলেন, ‘‘মন্ত্রীর ঘরে সবাই আসতেন। অবারিত দ্বার ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy