বামেরা যেমন সংগঠিত ভাবে আন্দোলনে নেমেছে, প্রদেশ কংগ্রেস এখনও তেমন কিছু করতে পারেনি। প্রথমে নাগরিক মিছিলের পরে কাল, শনিবার কলকাতায় আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদে বামফ্রন্টের ব্যানারে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ফাইল চিত্র।
এক দিকে ডেউচা-পাঁচামিতে উচ্ছেদের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে জনজাতি-সহ স্থানীয় মানুষের প্রতিবাদ। আবার অন্য দিকে ছাত্র-নেতা আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের উৎসাহ দিতে এবং দলকে চাঙ্গা করতে রাহুল গান্ধী বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রাকে বাংলায় পাঠানোর জন্য সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে আর্জি জানালেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর যুক্তি, বিজেপিকে সরিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস-বিরোধী যে রাজনৈতিক পরিসর আবার তৈরি হচ্ছে, সেই প্রক্রিয়ায় আরও গতি সঞ্চার করতে পারে সনিয়া বা প্রিয়ঙ্কার সফর।
বীরভূমে ডেউচা-পাঁচামির প্রস্তাবিত খনি প্রকল্পের এলাকায় গিয়ে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে এবং আমতার সারদায় ছাত্র-নেতা আনিসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে তিনি যে কথা বলে এসেছেন, সে কথা কংগ্রেস সভানেত্রীকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, আনিস দুর্নীতি এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শাসক দলের স্থানীয় নেতত্বের রোষে পড়েছিলেন। আর ডেউচায় আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে প্রকল্প দিতে চায় রাজ্য সরকার। ওই গোষ্ঠী বিজেপির ‘ঘনিষ্ঠ’, রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল এই নিয়ে আন্দোলনে নেই। স্থানীয় মানুষকে নিয়ে অরাজনৈতিক মঞ্চ গড়ে প্রতিবাদ চলছে। আবার আনিস-কাণ্ডে আন্দোলনের রাশ তুলে নিয়েছে বাম ছাত্র-যুবরা, ওই প্রতিবাদেও বিজেপি নেই। তৃণমূল-বিজেপির তলায় তলায় ‘আঁতাঁত’ স্পষ্ট করে দিতে এবং সরকার-বিরোধী আন্দোলনে হাওয়া জোগাতে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার মধ্যে কাউকে আমতা এবং ডেউচা-পাঁচামিতে পাঠানোর জন্য সনিয়ার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মান্নান। উত্তরপ্রদেশ বা অন্য রাজ্যে কোনও ঘটনা ঘটলে যে ভাবে তাঁরা ছুটে যান, সে কথাও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন বিরোধী নেতা।
বামেরা যেমন সংগঠিত ভাবে আন্দোলনে নেমেছে, প্রদেশ কংগ্রেস এখনও তেমন কিছু করতে পারেনি। প্রথমে নাগরিক মিছিলের পরে কাল, শনিবার কলকাতায় আনিস-কাণ্ডের প্রতিবাদে বামফ্রন্টের ব্যানারে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের নানা সংগঠন সেখানে নিজেদের মতো করে নানা কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। আমতা থানার সামনে বৃহস্পতিবারই বিক্ষোভ করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জডিয়েছে ছাত্র পরিষদ। আমতায় এ দিনই আনিসের বাড়ি গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, কৃষ্ণা দেবনাথেরা। শুভঙ্করের মতে, ‘‘এই ঘটনায় সরকার নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের ১০৮টি পুরসভার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। কারণ, এই ভীতির পরিবেশে মানুষ ভোট দিতে কম বেরোতে পারেন, তাতে শাসক দলের আরও সুবিধা হবে। তার পরে নিজেদের মতো ভোটের ফল করে নিয়ে তারা দাবি করবে, মানুষ সরকারের সঙ্গে আছে! সেই সুযোগ আমরা দেব কেন?’’ আবার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, তুলসী মুখোপাধ্যায়েরা রিজ়ওয়ানুর-প্রতিবাদের কায়দায় রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে মোমবাতি মিছিল করেছেন। ‘রিজ়ওয়ানুর পেল না, আনিস কি পাবে বিচার’ প্রশ্ন তুলে আজ, শুক্রবার নোনাপুকুর থেকে মিছিলের ডাক দিয়েছে মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy