Advertisement
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এক যুগ লড়াইয়ের শেষে নিয়োগ-নির্দেশ

মৌসুমির আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, মৌসুমির বাবা পুলকরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন। ২০১২ সালের অগস্ট মাসে ৫৬ বছর বয়সে কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সব্যসাচী ভট্টাচার্য
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৯
Share: Save:

দু’এক বছর নয়, বারো বছরের আইনি লড়াই শেষে বাবার মৃত্যুকালীন চাকরির সুবিধা (ডাইং ইন হারনেস) পেতে চলেছেন এক মহিলা। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা মৌসুমি বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাকরি দিতে হবে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। এর আগে হাই কোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ও মৌসুমিকে চাকরি দিতে বলেছিলেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানায় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। তাদের আর্জি খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মেয়ে বিবাহিত হলেই তাঁকে চাকরি সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যায় না।

মৌসুমির আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, মৌসুমির বাবা পুলকরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি করতেন। ২০১২ সালের অগস্ট মাসে ৫৬ বছর বয়সে কর্মরত অবস্থায় তিনি মারা যান। বাবার ওই চাকরির জন্য আবেদন করেন মৌসুমি। কিন্তু মৌসুমি বিবাহিত, এই যুক্তি দেখিয়ে সংস্থা তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। এর পরেই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন মৌসুমি। সেই মামলায় দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলার পরে গত এপ্রিল মাসে রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, মৌসুমি ওই চাকরি পাওয়ার যোগ্য এবং তাঁকে নিয়োগ করতে হবে।

বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। আদালতের খবর, বিবাহিত মেয়ে এই ক্ষেত্রে চাকরি পেতে পারে না, সেই যুক্তি কোর্টে পেশ করেছিলেন সংস্থার আইনজীবী। পাল্টা যুক্তি দেন মৌসুমির আইনজীবীও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে সংস্থার আর্জি খারিজ করে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE