বিধানসভায় গেটে হাজির হয়ে শ্যামনন্দন ঘোষাল জানান তিনি প্রার্থী হতে চান রাজ্যসভার ভোটে। নিজস্ব চিত্র।
অনেক আশা নিয়ে পটনা থেকে বাংলার রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হতে এসেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থী হতে পারবেন না জেনেই নিজের রাজ্য বিহারে ফিরে যাচ্ছেন শ্যামনন্দন ঘোষাল। কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন, নন কোনও নামজাদা ব্যক্তিত্ব। ভোটে দাঁড়ানোই তাঁর শখ। শুক্রবার প্রার্থী হওয়ার আশা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বিধানসভার গেটেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে আটকাতেই ‘ভোটপাগলা’ শ্যামনন্দন জানান, রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হতে এসেছেন তিনি। নিয়মকানুন জেনে আগামী সপ্তাহেই মনোনয়ন দাখিল করবেন। এমন কথা শুনেই চক্ষুচড়ক গাছ বিধানসভার গেটে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীদের।
তাঁর কথা শুনে নিজেদের বসার ঘরে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরাই শ্যামনন্দনকে জানান, এভাবে রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী হওয়া যায় না। কিন্তু নাছোড় শ্যামনন্দন তাঁদের জানান, বিহারে রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন তিনি। অবসরের পর তাঁর প্রধান দুটি কাজ, সমাজসেবা ও ভোটে দাঁড়ানো। ২০১৪ সালের লোকসভা ও ২০১৫ সালের বিধানসভা, দু’টি নির্বাচনেই বিহারে প্রার্থী হয়েছিলেন শ্যামনন্দন। কিন্তু দু’টি নির্বাচনেই পরাজিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থী হতে পারেননি তিনি। তাই সেই আক্ষেপ মেটাতে এবার বাংলার রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী হতে কলকাতায় এসেছেন বছর ৬৭-র শ্যামনন্দন।
এমন সব কথা শুনে নিরাপত্তারক্ষীরাই খবর দেন বিধানসভার সচিবালয়ে। সচিবালয়ের বিশেষ অনুমতিতে বিধানসভার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে যান শ্যামনন্দন। বিধানসভা সূত্রে খবর, শ্যামনন্দনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবক হিসেবে ১০ জন বিধায়কের স্বাক্ষর নিয়ে এলেই মনোনয়ন দিতে পারবেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১২ ফেব্রুয়ারি দিনেশ ত্রিবেদী তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই আসনে ভোট হবে ৯ অগস্ট। মনোনয়নপর্ব চলবে ২৬ থেকে ২৯ অগস্ট। আর শনিবার এই আসনে জহর সরকারকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই ১০ জন বিধায়কের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে যে তিনি পারবেন না তা ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছেন। তাই সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই পটনা ফিরে যাচ্ছেন শ্যামনন্দন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy