আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ বিশ্বভারতী। নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে রাখায় মঙ্গলবার দুপুরে শান্তিনিকেতন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এক পড়ুয়া। দেবব্রত নাথ নামে ওই পড়ুয়ার অভিযোগ, মাসের শেষ দিনটি বেতন দেওয়ার দিন, এই দিনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মীদের ঢুকতে না দেওয়ার ফলে মাইনে আটকে যেতে পারে সকলেরই। পাশাপাশি তাঁর দাবি, পড়ুয়ারা যেখানে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তালা দেওয়ার কোনও অর্থই হতে পারে না
আন্দোলনকারী ছাত্র দেবব্রত জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীর সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের কোনও বিরোধ নেই, তাই তাঁরা কার্যালয়ে আসতে পারেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে বাধ সেধেছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে কার্যালয় বন্ধ রেখে মাইনে আটকে দেওয়া এবং পড়ুয়াদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে কর্মীদের উস্কানোর অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কর্মসচিব অশোক মাহাতো এবং অ্যাকাউন্টস অফিসার সঞ্জয় ঘোষের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
কার্যালয়ে তালা যে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকেই লাগানো হয়েছে, তার ‘প্রমাণ’ হিসেবে এক নিরাপত্তারক্ষীর বক্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপিংস-ও জুড়ে দেওয়া হয়েছে ওই অভিযোগের সঙ্গে। কার্যালয়ের গেটেও পোস্টার ঝুলিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছে যে, কর্মীদের এই সমস্যার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী। তিন ছাত্রের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক বলেন, ‘‘এমন কাণ্ড করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র ছাত্রদের আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা করছেন।’’ আন্দোলনরত ছাত্র সোমনাথ নাগ বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন উপাচার্য। তাঁর জন্যই একের পর এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বিশ্বভারতীতে।’’ এই বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কিছু বলতে রাজি হননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy