ভিডিয়ো বার্তায় ভারতীয় দূতাবাসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন যুবক। নিজস্ব চিত্র।
ইউক্রেনের খারকিভের মাটিতে আত্মগোপন করে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের দুই যুবক। খাবার পাচ্ছেন না ঠিকঠাক। অন্য দিকে বাঙ্কারে একে একে বাড়ছে আশ্রিতদের সংখ্যা। একটি ভিডিয়ো কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ধূপগুড়ির আশিস বিশ্বাস। তাঁর আরও অভিযোগ, ভারতীয় দূতাবাস কোনও পদক্ষেপই করছে না। বাঙ্কার থেকে এমনটাই জানালেন ভিডিয়ো বার্তায়।
ভিডিয়োয় আশিস বলেন, ‘‘ইউক্রেনের খারকিভে খুবই সমস্যার মধ্যে রয়েছি। গত কয়েকদিন ধরে বাঙ্কারে আছি। প্রথমে তিন জন ছিলাম। এখন আটজন। প্রচন্ড শীতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। বাইরে বোমা পড়ছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। খাবারের সমস্যা হচ্ছে।’’
আশিসের সঙ্গে বাঙ্কারে আটকে আছেন শিলিগুড়ির এক যুবকও। ওই ভিডিয়োতে তিনি, বলেন, ‘‘আমরা বর্ডার থেকে ১,৪০০ কিলোমিটার দূরে আছি। অথচ, ভারতীয় দূতাবাস আমাদের নিয়ে যাবার কোনও রকম ব্যবস্থা করছে না। যদিও অন্যান্য দেশের দূতাবাসগুলো তাদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গিয়েছে। এখান থেকে আমাদের পক্ষে বেরনো মুশকিল।’’
আটকে রয়েছেন ঝাড়গ্ৰামের যুবক রূপম মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে যারা নিজেরা যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের সীমান্তে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে আটকে রাখা হয়েছে। এমনকি তাদের উপর নির্যাতন করা হয়েছে বলেও আমরা জানতে পেরেছি।’’ তিন বাঙালি যুবকের আবেদন দ্রুত তাঁদের বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করুক সরকার।
অন্য দিকে এই যুদ্ধবিধ্বস্ত খারকিভ থেকেই হাঙ্গেরি হয়ে বাড়ির পথে বাঁকুড়ার ডাক্তারি পড়ুয়া সৌমাল্য মুখোপাধ্যায়। সৌমাল্যর পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে খবর আসে সৌমাল্য এবং আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় পড়ুয়াকে দ্রুত খারকিভ স্টেশনে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস। নির্দেশ মতো সৌমাল্য-সহ কয়েকশো ভারতীয় পড়ুয়া খারকিভ স্টেশনে পৌঁছন। আপাতত তিনি ট্রেনে করে সৌমাল্য সহ অন্যান্য ভারতীয় হাঙ্গেরির দিকে যাচ্ছেন। এর পর বাসে করে হাঙ্গেরি এবং সেখান থেকে আকাশপথে ভারতে আসতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy